রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে পশ্চিবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, অক্টোবরে রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন JUTA মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়🉐ে জানাল, অক্টোবরে পরীক্ষা নꦿিলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হবে, দেরি হয়ে যাবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সংগঠন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে পঠনপাঠন কীভাবে পরিচালনা করা হবে, ফা⛎ইনাল সেমিস্টার কীভাবে নেওয়া যেতে পারে, এই বিষয়🙈ে উপাচার্যদের মতামত জানতে সোমবার বৈঠক ডাকা হয়। উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই পরীক্ষা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ বছরের ১-১৮ অক্টোবরের মধ্যেই পরীক্ষার নেওয়ার কাজ শেষ করবে ইউজিসি অধীনস্থ কলেজগুলো। উচ্চশিক্ষায় সরাসরি ক্লাসের বদলে 𝕴অনলাইন ক্লাস ঠিক কতটা প্রয়োজন মেটাতে পারছে তা নিয়ে ধন্দে পড়ুয়ারা, শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা। ফলে সেসব সমস্য🍃া মেটাতেই একযোগে বসে সিদ্ধান্ত নিতেই বৈঠক করা হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় অক্টোবরেই রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে উপাচার্যদের🐼 আপত্তি না থাকলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে কেউই রাজি হতে পারেননি। তাঁদের অধিকাংশেরই মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা না নিয়ে বাড়িতে বসেই বা অনলাইনে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিলেই ভালো। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই সাবধানতা নিয়ে সরব উপাচার্যরা প্রায় সবাই। পাশাপাশি জানানো হয়, প্রয়োজন মনে করলে ওপেন বুক মাধ্যমে বা অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। অক্টোবরেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে বলেও জানানো হয়।
কিন্তু আজ এই সিদ্ধান🉐্তের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেয় জুটা। চিঠিতে বলা হয় অক্টোবরে পরীক্ষা হলে পড়ুয়াদের সমস্যা হবে এবং অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই পরীক্ষা কবে হবে, সেই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়🦩ের ওপরই ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানায় জুটা।