অতিবৃষ্টির জল বের হওয়ার ড্রেন। এদিকে সেই জায়গা আটকে রেখেই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার জমকালো বিল্ডিং। এদিকে জল জমে কর্মী আসতে না পারায় লোকসানের দাবি করছেন। সাম্প্রতিক বেঙ্গালুরু আউটার রিং এলাকায় জল জমার ঘটনার পর এমনই ൩অভিযোগ তুলেছেন করꦫ্ণাটকের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোকা। এবার এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। প্রয়োজনে এমন আইটি অফিসের বিল্ডিং ভেঙে সরিয়েদিন। নির্দেশ দিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই মর্মে নগর পরিচালনা দফতর🔯ের আধিকারিকদের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখতে। ধনী, দরিদ্র বা কোনও প্রভাবশালী বলে ছাড়ের প্রশ্নই নেই। জল নিকাশীতে সমস্যা, বেআইনি দখলকৃত জমি হলে তা বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেঙ্গালুরুর প্রশাসনের বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদের এমন ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে মোট ৩০টি আইটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় প্রখ্যাত আইটি সংস্থা উইপ্রো-ও আছে। যদিও উইপ্রো জানিয়েছে, তাদের কাছে বিবএমপি থেকে এই সংক্রান্ত কোনও নোটিশই আসেনি। তাছাড়া তাদের দোদ্দাকান্নেলির যে ক্যাম্পাস, তা 👍সম্পূর্ণ অনুমোদিত এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে।
পূর্ব বেঙ্গালুরুর বাগমানে ওয়ার্ল্ড টেকনোলজি সেন্টারের বিরুদ্ধে⭕ই এ হেন অভিযোগ রয়েছে। স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন আটক𒉰েই নাকি গড়া হয়েছে অফিস। তবে তারাও এহেন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, আইটি সংস্থাগুলিকেও সরাসরি দোষ দেওয়া যায় না। বেশিরভাগ সংস্থাই✃ অন্যদের তৈরি বিল্ডিং অধিগ্রহণ বা লিজ নিয়ে দফতর চালায়। ফলে এক্ষেত্রে ফাঁক থেকে যেতে পারে। নির্মাতাদের উপরেও তাই অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে।
এমনই এক নির্মাতা পুরাভাঙ্কারা রয়েছে সরকারের নজরে। বেঙ্গালুরুর জলা, নিচু এলাকায় এই সংস্থা বেশ কিছু সুসজ্জিত, অত্যাধুনিক বাংলো, আবাসন তৈরি করেছে। নাম পার্ক রিজ ভিলাজ। বাইরে থেকে এগুলি দেখলে তাক লেগে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। সুন্দর রাস্তা, সারি সারি বাগান বাড়ি। আইটি সংস্থার ▨দুঁদে আধিকারিক, সিইও, বিনিয়োগকারীদের বাড়ি। কিন্তু বৃষ্টি হলেই স্বর্গ পরিণত হয় নরকে। বাংলোর ইতালিয়ান মার্বেলের ঘরেও দাঁড়িয়ে গিয়েছে হাঁটু সমান জল। ট্রাক্টরে উদ্ধার করা হচ্ছে কোটিপতি বাসিন্দাদের। ব্যাঙ্গালুরুর পুরনো বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এমনিতেই এই অঞ্চলগুলি নিচু এলাকা ছিল। সেখানে জলা বুজিয়ে, দখলদারি করে নির্মাণগুলি করা হয়েছে। জল নিকাশীর কোনও ব্যবস্থাই নেই। আর তার ফলেই জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কোটি টাকা𝓰র বাড়িতে।