করোনা র জেরে একের পর এক মানুষ যখন কাজ হারাচ্ছেন তখন ইতিবাচক খবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ꦆ শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্ꦿরী ঘোষণা করলেন, ‘এবার থেকে প্রতি বছর সারা রাজ্য থেকে বাছাই করা ২০০ জন পড়ুয়াকে CMO-তে কাজ করার জন্য নেওয়া হবে। প্রতিবছর এটা পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ করার মতো হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ꦬতাঁর দফতরে কাজ করার পর এলাকায় এলাকায় গিয়ে এই পড়ুয়ারা কাজ করবে। তাহলে মানুষের সঙ্গে কাজ করা, মানুষের পাশে দাঁড়ান🃏োর বিষয়টি হাতেকলমে শিখে নেবে এঁরা। কারণ, ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ। তিনি বলেন, আমি চাই ছাত্ররা এগিয়ে আসুক। সেই কারণেই এই ভাবনা রাজ্য সরকারের।
ছাত্র-যুবাদের কর্মসংস্থানের লক𓆉্ষ্যে রাজ্য সরকার ধারাবাহিকভাবে কী করেছে এদিনের সভায় তিনি তার ফিরিস𒁃্তি দেন তিনি । ইতিমধ্যেই রাজ্যে গত দশ বছরে কয়েক কোটি যুবকের চাকরি হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সারা দেশে যখন বেকারত্ব বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ, তখন এই রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন, সিলিকন ভ্যালি, দেওচা পাঁচামির মতো প্রকল্পের ফলে আগামী দিনেও কয়েক লক্ষ যুবক-যুবতীর চাকরি হতে চলেছে। এই সবই করছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও, গত দশ বছরে আইটিআইতে ৮৫ হাজার আসন, পলিটেকনিকে ৪০ হাজার আসন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, ১৪টি মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বহু নার্সিং কলেজ-সহ কর্মসংস্থানের উপযোগী বিভিন্ন কোর্সের জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। ছাত্রদের উদ্দেশে তাঁর উপদেশ, ‘এলাকায় এলাকায় গিয়ে কাজ করবেন, সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়🐼াবে🍌ন। এতে সমাজ ভাল থাকবে।’
স্বগতোক্তির সুরেই মমতা এদিন বলেন, ‘এখন রাজ্যজুড়ে ব্যাপক কাজ হচ্ছে। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে কামতাপুরী ভাষায় বই করে দিয়েছি। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত এই বই তৈরি করেছি। শীঘ্রই এই বই প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, অলচিকি হরফ, উর্দু, গুরমুখি-সহ সবরকম ভাষাকেই গুরুত্ব দিয়ে তাকে শ🎃িক্ষার ক𒁏্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ‘বর্তমানে বিজেপি বিভেদের রাজনীতির কাছে একমাত্র ওষুধ সব মানুষকে নিয়ে চলা, কারণ এটাই ধর্ম। তাই হয় আপনারা লড়বেন, নয়তো মরবেন। কী করবেন সেটা ঠিক করুন এখনই। কারণ, করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে, হ্যাম লড়েঙ্গে, হ্যাম জিয়েঙ্গে। ছাত্রসমাজ লড়বে, করবে, হাসবে।’