নিট প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে নয়া প্রমাণ হাতে এল বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা ৬টি পোস্ট ডেটেড চেক উদ্ধার করেছেন। তা থেকে জানা গিয়েছে, নিটের তথাকথিত প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্যে পরীক্ষার্থী পিছু ৩০ লাখ টাকা করে নিয়েছিল মাফিয়া গোষ্ঠী। ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ইওইউ) মানবজিৎ সিং ধিলোঁ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই চেক উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'তদন্ত চলাকালীন, গোয়েন্দারা ছয়টি পোস্ট-ডেটেড চেক উদ্ধার করেছে। পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার জন্যে সেই টাকা নেওয়া হয়েছিল।' (আরও পড়ুন: মিটে গেল ফারাক, ইদে উপহার রাজ্য সরকারের,চমক দিয়ে ফের DA বাড়✨ল এই সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: ৯% ডিএ বাড়িয়ে করা হল ২৩৯ শতাংশ, রাজ🎃্য সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে বকেয়াও
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মাথায় হাত মুখ্যমন্ত্রীর ♔বড় ঘোষণায়, এবার পকেট থেকে খসবে টাকা
রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া চেকগুলির সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের 🐎সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, নিট প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউইনিট এখনও পর্যন্ত চার পরীক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্য সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ১৩ জনই বিহারের। এছাড়াও বিহারের সাতজন এবং উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের একজন করে প্রার্থীকে তদন্তের স্বার্থে তলবের নোটিস পাঠিয়েছে বিহার পুলিশ।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্মলা, কবে পেশ হতে পা🍸রে ‘ঐতিহাসিক’ পূর্ণাঙ্✨গ বাজেট?
উল্লেখ্য, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দাবি উঠেছে নিট পরীক্ষা বাতিলের। যদিও নিট পরীক্ষা ব💜াতিলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এরই মাঝে পটনায় নিট পরীক্ষা নিয়ে তদন্তে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, গত ৫ মে নিট পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পরই পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে একটি খবর গিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, একটি সাদা রঙের রেনল্ট ডাস্টার গাড়ি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দেখা গিয়েছে। তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে এই গাড়ি একটি নির্দিষ্ট𒈔 গ্যাং সদস্যের। এর আগে সেই গ্যাং সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন: মেটা🍸নো হবে সরকারি কর্মীদের কোটি কোটি টাকার বকেয়া, আদালতের রায়ে🎃র পর বড় ঘোষণা
বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের তদন্তে জানা গিয়েছে, এই দুর্নীতির সঙ্গে অন্তত ৩৫ জন পরীক্ষার্থী যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ৪ জনকে পরীক্ষার দিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া আরও ৯ জনকে চিহ্নিত করে তলব করা হয়েছে জেরার জন্যে। এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আরও ২২ জন পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত কর▨া বাকি রয়েছে। এদিকে বিহার পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৭, ৪০৮, ৪০৯ এবং ১২০বি নং ধারায় মামলা রুজ🐼ু করেছে।
জানা গিয়েছে, গত ৫ মে যে সাদা গাড়ির বিষয়ে বিহার পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, সেটি বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে ৪ জন নিট পরীক্ষার্থীর অ꧅্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছিল। সেই গাড়ি থেকে আটক হয়েছিলেন ৩ জন - সমস্তিপুরের সিকান্দর যাদভেন্দু (৫৬), দানাপুরের অখিলেশ কুমার (৪৩) এবং রোহতাসের বিট্টু কুমার (৩৮)। এই তিনজনকে পুলিশ জেরা করে। সেই সময় পেশায় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দর তদন্তকারীদের জানান, সঞ্জীব সিং, রকি, নীতীশ কুমার এবং অমিত আনন্দ নামক ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং 'সেটিং' হয়। এদিকে সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি অ্যাডমিট কার্ড যাদের ছিল, তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে।