টেট মানে যেন অগ্নিপরীক্ষা। একদিকে পরীক্ষার্থীরা। আর অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। উভয়ের কাছেই এই দিনটা কার্যত অগ্নিপরীক্ষার। সেই পরীক্ষায় কতটা উতরে গেল পর্ষদ তা নিয়ে চর্চা একেবারে তুঙ্গে। তবে এবার প্রশ্ন টেট তো আগেও হয়েছিল। এবারও হল। কিন্তু নিয়োগ কবে হবে? এদিন পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে এই প্রশ্নটা ভাবিয়েছে অনেক♌কেই। পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পরে সংবাদমাধ্যম এনিয়ে প্রশ্ন করতেই পরীক্ষার্থীরা তাঁদের হতাশার কথা ব্যক্ত করেন। তাঁদের চোখে মুখেও চিন্তার ভাঁজ। কারণ একটাই, বিগত টেটগুলির নিয়োগ এখনও হয়নি। আবার টেট। সেক্ষেত্রে এবার কী হবে? কীভাবে নিয়োগ হবে?
প্রাথমিক শিক্🐎ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার জানিয়েছেন, ৮৮.২২ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, আমরা কিছুদিনের মধ্য়ে মডেল উত্তরপত্র দেব। আমরা তারপর সময় দেব পরীক্ষার্থীদের। তারা মতামত দেবেন। আমাদের খুব বেশিদিন লাগবে না রেজাল্ট বের করতে। আগের বার যেমন করেছিলাম এবারও সেভাবেই করার চেষ্টা করছি। তবে টেট একটি যোগ্যতা মান নির্ণায়ক পরীক্ষা। বিজ্ঞপ্তি যখন বের হবে তখন নিয়োগ হবে।
অর্থাৎ সেই নিয়োগ ধাঁধার উত্তরটা ঠিকঠাক মিলল না এদিনও। এমনটাই মত অনꦅেকের। আর এই চিন্তাটাই কুড়ে ✨কুড়ে খাচ্ছে অনেককেই।
এদিন একাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে বলেন, প্রশ্নপত্র বেশ কঠিন হয়েছিল। আবার কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলেন, প্রশ্নপত্র কঠিন হলেও তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু গতবারেও তো টেট দিয়েছিলাম। কিন্তু টেট পরীক্ষা দিলেও নি🍒য়োগ কবে হবে সেটা বুঝতে পারছি না।
কার্যত এ এক যেন গোলকধাঁধা। বছরের পর বছর ধরে এই গোলকধাঁধায় ঘুরছেন পরীক্ষার্থীরা﷽। দিনের পর দিন ধরে তারা ধর্নায় বসে রয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না। এমনকী শিক্ষা দফতরের সঙ্গে দফায় দ🐈ফায় মিটিংও করেছেন তারা। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত জট যেন কিছুতেই কাটছে না তাদের।