গ্রামীণ ভারতে দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। ক্রমাগ𝔍ত বাড়তে থাকা আয়, আয়ের পর সাংꦓসারিক খরচ থেকে টাকা বাঁচিয়ে ভালো পরিমাণ সঞ্চয়, জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বীমা সহ আর্থিক দিক দিয়ে নিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে গ্রামীণ পরিবারগুলি। এইভাবে মাত্র ৫ বছরে গড় গ্রামীণ আয় ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। আর সবটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই। এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (NABARD) পরিচালিত, ২০২১-২২-এর জন্য দ্🦩বিতীয় সর্বভারতীয় গ্রামীণ আর্থিক সমীক্ষা দেখায়, ২০১৬-২৭ সালে গড় গ্রামীণ আয় ছিল মাত্র ৮,৫০৯ টাকা। ২০২১-২২ সালে এটি বেড়ে ১২,৬৯৮ টাকা হয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে কৃষি পরিবারগুলি একটু বেশি আয় করেছে, গড় হিসাবে সেই মাসিক পরিমাণ হল ১৩,৬৬১ টাকা। আর যে পরিবারগুলো কৃষিকাজ করে না, তাদের ১১,৪৩৮ টাকা আয় হয়েছে৷ বেশিরভাগ পরিবারের আয়ের সবচꦰেয়ে বড় উৎস হল সরকারি বা বেসরকারি খাতে চাকরি, মোট আয়ের প্রায় ৩৭ শতাংশ তা থেকেই এসেছে।
বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য ব্যয় আবার ৫ꦬ৩ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশ হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো খাওয়া খরচের বাইরের খরচ ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১১-১২ সালে যা মাত্র ৪৬ শতাংশ ছিল, ২০২২-২৩ সালে তা ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকারের মতে, গ্রামীণ ভারতে বার্ষিক সঞ্চয় ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র পাঁচ বছরে এটি ৯,১০৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৩,২০৯ টাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (SBI expansion plans: চলতি আর্থিক বছরে ৬০০🎐টি নতুন শাখা খুলবে SBI, জানালেন চ𓄧েয়ারম্যান)
বার্ষিক সঞ্চয় বেড়েছে
পরিবারের গড় বার্ষিক সঞ্চয়ের পরিমাণ ২০২১-২২ সালে ১৩,২০৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, যা ২০১৬-১৭ সালে ছিল𒉰 ৯,১০৪ টাকা। আবার ২০২১-২২ সালে, ৬৬ শতাংশ পরিবার বলেছে যে তারা অর্থ সঞ্চয় করেছে, য🍨েখানে ২০১৬-১৭ সালে ৫০.০৬ শতাংশ পরিবার অর্থ সঞ্চয় করেছিল বলে খবর।
আর্থিক সাক্ষরতাও বৃদ্ধি
এখন গ্রামীণ ভারতও আর্থিক খাতে, সঠিক ও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছে এবং ক্রমাগত শিখছে। সরকার নিজেই এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে যে শহরগুলির মতো, গ্রামীণ ভারতেও আর্থিক সাক্ষরতা বাꦡড়ছে। ২০১৬-১৭ সালে ৩৩.৯ শতাংশ থেকে ২০২১-২২ সালে ৫১.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে আর্থিক সাক্ষরতা।
সমীক্ষা অনুসারে, গ্রামীণ পরিবারগুলি আয়, সঞ্চয়, বীমা কভারেজ এবং আর্থিক সাক্ষরতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করার পিছনে রয়েছে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মানধন যোজনা, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম (MGNREGS), প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ (PMAY-U), প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PไMGSY), দীনদয়াল যোজনা প্রকল্প জীবিকা মিশন (DAY সরকারী কল্যাণ প্রকল্প যেমন-NRLM), দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল যোজনা (DDU-GKY) গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।