কর্মচারীদের কাছ থেকে জোর করে পাঁচ লক্ষ ট💜াকা নিলেও অসুবিধা নেই। কোনও 🔯আইনি ঝামেলায়ও পড়তে হবে না। এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
পুরো বিষয়টি কী
গুজরাটের একটি স্থানীয় আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। আসলে একটি কোম্পানিকে তার কর্মচারীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আদায়ের অনুমতি দিয়েছে আদালত। কোম্পানিটির অভিযোগ ছিল বিনা নোটিশে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন কর্মচারী। আদালত কোম্পানির অভিযোগ আমলে নিয়ে, চাকরি ছেড়ে যাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আ🥀দায়ের অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: (B🐈izarre: 'আবার আসব ফিরে'- কাজ ছাড়ার আগে বসকে চিঠি লিখলেন কর্মী)
আসল ঘটনাটি গুজরাটের আহমেদাবাদের। এখানের জেনসেন কোবেন সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিত🅺ে ২০২১ সালে মারিয়া রাজপুত নামে এক নারী চাকরি পান। মারিয়াকে ফাইন্যান্স ট্রেইনি অ্যাসোসিয়েট হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়। ছয় মাস তাঁর ট্রায়াল পিরিয়ড চলছিল। ট্রায়ালের পর তাঁর চাকরি নিশ্চিত হয়ে যায়। এরই কিছুদিন পর মারিয়া কোনও কারণ না দেখিয়েই চাকরি ছেড়ে দেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, চাকরি ছাড়ার ৩০ দিন আগে নোটিশ দেওয়া জরুরি।
এ বিষয়ে✨ দায়ের করা মামলায় কোম্পানি জানিয়েছিল, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই মারিয়া রাজপুত নিয়মিত কাজে আসছেন না। এমনকি কাজ ছাড়ার আগেও মারিয়া না জানিয়েই কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। এটি বেশ কয়েকবার 🎐ঘটলে, কোম্পানি মারিয়া ফেরার দাবি করে একটি নোটিশ জারি করে। তারপর মারিয়া নিজেই ই- মেইলের মাধ্যমে কোম্পানিতে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠান।
কিন্তু তাও রাগ কমে না কোম্পানির। কোম্পানি মারিয়াকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে তিনি নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ করেননি। তাই এই পত্র গ্রহণ করা হবে না। কোম্পানিটি মারিয়াকে পদত্যাগ না করে, নোটিশের মেয়াদ শেষ ন🌃া হ🍸ওয়া পর্যন্ত কাজে আসতে বলে। কিন্তু আসেননি মারিয়া। হঠাৎ কর্মী হারিয়ে, আদালতের দ্বারস্থ হয় কোম্পানি।
টাইম🔯স অফ ইন্ডিয়া'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থার দায়ের করা মামলার সময়ও মারিয়া রাজপুত অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর কোম্পানির আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়। বিনা নোটিশে চাকরি ছাড়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়। এই নোটিশেরও জবাবও দেননি মারিয়া। পরে এ মামলায় একতরফা শুনানিতে কোম্পানির পক্ষে রায় দিয়েছে আদাল🦄ত। এরপরই কর্মচারীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা আদায়ের অনুমতিও দিয়ে বসেছে।