সম্প্রতি কর্মীদের ইমেল পাঠিয়ে 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'কে কার্যত বিদায় জানিয়েছে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস। এবার সংস্থার কয়েক হাজার কর্মীকে বদলির নোটিশ ধরাল সংস্থা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ২০০০ কর্মীকে অন্যত্র গিয়ে অফিসে যোগ দিতে বলা হয়েছে সংস্থার তরফে। এমনই দাবি করল আইটি কর্মচারীদের ইউনিয়ন ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট। মানিকন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, অগস্ট থেকে কর্মীদের বদলির ইমেল পাঠিয়ে চলেছে টিসিএস। সংশ্লিষ্ট কর্মীর সুবিধা-অসুবিধার কথা নাম ভেবেই নাকি এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে কর্মীদের বদলি বাবদ খরচ সংস্থা বহন করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে বদলির নোটিশ না মানা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে টিসিএস কর্তৃপক্ষ। এই আবহে প্রায় ১৮০ জন টিসিএস কর্মী ইউনিয়নের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছে ইউনিয়ন। (আরও পড়ুন: ফেরানো হয়েছে মাত্র ১৩৮ কোটি, সেবির পকেটে থাকা ‘সাহারার ২৫ হাಞজার ক🍌োটি’র কী হবে?)
এদিকে অক্টোবর থেকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পালা তুলে দেয় টিসিএস। সংস্থার কর্মীদের করা একটি ইমেলে শীর্ষ কর্তৃপক্ষ জানায়, ড্রেস কোড মেনে সপ্তাহে পাঁচদিন করে অফিসে এসে কাজ করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তবে খাতায় কলমে এখনও 'হাইব্রিড' মডেল আছে সংস্থায়। অর্থাৎ, প্রয়োজনে বাড়ি থেকেও কাজ করা যাবে। প্রসঙ্গত, কোভিডকালে সব আইটি সংস্থাই 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম'-এর রীতি চালু করেছিল। কোভিড চলে গেলেও সেই রীতি থেকে গিয়েছিল। পরে 'হাইব্রিড' মোড শুরু হয়। মাঝে মাঝে অফিসে অফিসে গিয়ে কাজ, মাঝে মাঝে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। তবে ধীরে ধীরে সব আইটি সংস্থাই ফের অফিস সংস্কৃতিতে ফিরতে চাইছ⛄ে।
এর আগে ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং মহিলাদের চাকরি ছাড়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মুখ্য মানবসম্পদ আধিকারিক মিলিন্দ লক্কড়। তিনি বলেছিলেন, 🅠'২০২৩ অর্থবর্ষে পুরুষদের থেকে মহিলারাই বেশি চাকরি ছেড়েছেন। আমার মনে হয়, বাড়ির কাজের জন্যই অনেকে আর অফিসে ফিরছেন না। নয়ত যখন সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে, তখন অফিসে আসতে আর সমস্যা কোথায়।' এরই মাঝে এবার কর্মীদে🦹র বদলি নিয়ে বিতর্কে জড়াল সংস্থা।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর⭕্মী সংখ্যা বেড়েছিল ৮২১। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর্মী সংখ্যা বেড়েছিল ৫২৩। আর তারপরই গত তিন মাসে কর্মী সংখ্যা বড় পতন দেখা গিয়েছে টিসিএস-এ। রিপোর্ট বলছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে টিসিএস-এ কর্মী সংখ্যা কমেছে ৬,৩৩৩। এরই মাঝে টিসিএস-এর সিওও এন গণপতি সুব্রহ্মণ্যম সম্প্রতি জানান, প্রতি বছরই টিসিএস ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করে থাকে। এবছরও সেই মতোই প্রায় ৪০ হাজার ফ্রেশারকে কলেজ ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করতে চলেছে টিসিএস। পাশাপাশি এবছর বড় রকমের কোনও ছাঁটাই করা হবে না বলেও জানিয়েছেন টিসিএস কর্তা।