সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের জন্য নয়া নিয়ম আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের ৫ বছর গ্রামাঞ্চলের স্কুলে গিয়ে পড়াতে ꧃হতে পারে। এবিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে এই বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট এ বিষয়ে রাজ্যকে এনিয়ে নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছিল। তারপরেই এরকম পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা রাজ্যের। যদিও বিষয়টি এখন চিন্তাভাবনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেই চিকিৎসকদের মতোই শিক্ষকদেরও চাকরি জীবনে ৫ বছর গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকতা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দাঙ্গা বিধ্বস্ত মণিপুর থেকে ১৪ পড়ুয়াকে সোলাপুরের 💜ক্লাসরুমে ফেরালেন এই শিক্ষকဣ!
সো💎মবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই শিক্ষা নীতির খসড়ায় বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনার কথা আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক–পড়ুয়াদের অনুপাত ঠিক নয় বলে অভিযোগ উঠে থাকে। এ নিয়ে একাধিবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নীতি নির্ধারণ করতে বলেছে। তাছাড়া অন্যত্র বদলি চাওয়া বিভিন্ন শিক্ষককেও ভর্ৎসনা করেছে আদালত। তার পরিপ্রেক্ষিতে এমন চিন্তা ভাবনা রাজ্যের। মূলত যে সমস্ত নতুন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হতে চলেছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই 🎉নিয়ম কার্যকর করা হতে পারে।
অন্যদিকে, নয়া শিক্ষা নীতিতে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ইংরেজি, তৃতীয় ভাষা হিন্দি এবং সংস্কৃতকেউ গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও একাধিক বিষয়ের আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকলে দশম দশম শ্রেণির প🐻রীক্ষা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে শিক্ষা নীতিতে। এছাড়া, প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা যাতে পড়ানো যায় সে বিষয়ের উপর দেওয়া হয়েছে। এ𒉰ছাড়া, সিমেস্টার পদ্ধতি চালু করার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে অষ্টম শ্রেণি থেকে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এমন পদ্ধতি চালু করার কথা বলা হয়েছে শিক্ষা নীতিতে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য কমিশনের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও রেগুলেটরি কমিশন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আগেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিন এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট লক্ষ্য করেছিল যে শহরাঞ্চলের দিকে শিক্ষকদের বদলি হওয়ার প্রবণতা বেশি। তা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছ𒀰িল হাইকোর্ট । অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে শিক্ষকে🌳র হার কম থাকা সত্ত্বেও স্কুল থেকে শিক্ষকরা বদলি হতে চাইছেন। তা নিয়েও শিক্ষকদের ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তারপরে এমন চিন্তা ভাবনা রাজ্যের।