𒈔 কলেজ ভরতির মেধাতালিকায় বার বার উঠে আসছে অভিনেত্রী সানি লিওনির নাম। পাশাপাশি দেখা গিয়েছে বহু কলেজে একই আবেদনকারী একাধিক বার একই বিষয়ে আবেদন করেছেন। এর ফলে মেধাতালিকায় তাঁরা অনেকেই বড় অং🅷শ জুড়ে রয়েছেন।
করোনা অতিমারীর কারণে রাজ্যে চলতি বছরে ভরতি প্রক্রিয়া অনলাইনে হচ্ছে। আবেদন ফি দিতে হচ্ছে না। এই অবস্থায় কলেজগুলির মেধাতালিকা খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, বহু আবেদনকারী একাধিক বার আবেদন করেছেন। আবেদন পর্ব শ𓆉েষ হওয়ার পরে অনেক অধ্যক্ষই জানিয়েছেন, এ বছর আবেদনের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত নাম বাদ দিয়ে নতুন করে মেধাতালিকা তৈরি করছে কলেজগুলি।
নাম বিভ্রান্তির আড়ালে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভুল রয়েছে কি না এমন প্রশ্নও উঠছে। এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এই ঘটনা শুধুমাত্র আবেদনের জন্য কোনও ফি দিতে হচ্ছে না বলে ঘটছে, তা নয়। মেধাতালিকা গুলিয়ে দেওয়ার জন্য এমন করা হচ্ছে। পরিকল্পিত ভাবে মেধাতালিকায় স্থান দখল করে রাখা হচ্ছে। পরে൩ ওই সব নাম সরিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে ভরতি করানো হবে।
যদিও অধ্যক্ষদের মতে, ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে হয়। এᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ রকম করার সুযোগ এখন নেই।
নিউ আলিপুর কলেজের বিভিন্ন বিষয়ে মেধাতালিকায় একই আবেদনকারীর একাধিক বার নাম রয়েছে। অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গ🌌ী জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্সের এক আবেদনকারীর নাম এবং তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৮ বার মেধাতালিকায় দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য আবেদনকারীরা যাতে সুবিচার পান, সে দিকে নজর দিচ্ছি। আবেদন ফি কিছু দিতে হচ্ছে না বলে একের পর এক আবেদন করা হয়েছেꦍ।’
লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকার জানিয়েছেন, ফারসি বিষয় নিয়ে পড়াশোনার আবেদন খুব বেশি জমা পড়ে না। এবার সেখানে মাত্র ১৩টি আবেদনের মধ্যে প্রথম তিনটি একজনই করে বসে আছেন। ইংরেজি, পদার্থবিদ্যা-সহ অন্যান্য বিষয়েও এক𒅌াধিকবার একই আবেদনকারীর নাম রয়েছে।
গড়িয়া দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে প্রায় প্রতিটি বিষয়ে একই আবেদনকারীর একাধিক নাম রয়েছে। অধ্যক্ষ সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের জানান, প্রত্যেক আবেদনকারী সুবি🌺চার পাবে।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজে সাংবাদিকতা অনার্সের তালিকায় এক আবেদনকারীর নাম দশবার উল্লেখ করা হয়েছে। কলেজে সংস্কৃত পড়তে ১৬০ জন আবেদন করেছেন। কিন্তু এঁদের মধ্যে অর্ধেক আবেদনকারী বার বার আবেদন করেছেন। অধ্যജক্ষ ইন্দ্রনীল কর জানান, তাঁর কলেজে আসন সংখ্যা আড়াই হাজার। এ বার আবেদন জমা পড়ে♓ছে ৫৬ হাজার। গতবার আবেদনের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। তিনি জানিয়েছেন, ‘অতিরিক্ত নাম সব কেটে ফেলা হবে। কোনও আবেদনকারী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না।’