পিএইচডি থিসিস জমা দেওয়ার নিয়মে বদল আনল UGC। এতদিন পিয়ার রিভিউড জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ বাধ্যতামূলক ছিল। সেই নিয়ম দূর করার পরিকল্পনা করেছে UGC। কমিশন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে নিজস্ব নিয়ম-নীতি প্রণয়নের অধিকার দেবে।এর কারণ কী?এই সিদ্ধান্তের কারণ হল, অনেক পিএইচডি পড়ুয়াই তথাকথিত প্রেডাটরি জার্নালে তাঁদের রিসার্চ প্রকাশ করার দিকে ঝুঁকছিলেন। এই জাতীয় জার্নালগুলি টাকার বিনিময়ে গবেষণা প্রকাশ করে। বলাই বাহুল্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত যাচাই করা হয় না। অন্তত অ্যাকাডেমিক প্রকাশনার স্তরে হয় না, তা নিশ্চিত। UGC রেগুলেশন, ২০১৬-তে সংশোধন আনা হচ্ছে। এই নিয়মে PhD স্কলারদের একটি UGC রেফারড/পিয়ার-রিভিউড জার্নালে ডিসার্টিশন/থিসিস জমা দেওয়ার আগে অন্তত একটি রিসার্চ পেপার প্রকাশ করা আবশ্যিক ছিল।নতুন, ২০২২-এর নিয়মের অধীনে, কমিশন বাধ্যতামূলক শব্দটিকে 'দৃঢ়ভাবে সুপারিশকৃত' দিয়ে প্রতিস্থাপন করবে। পিএইচডি ডিগ্রির মানের মূল্যায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব হবে। তারা এই বিষয়ে তাদের নিজস্ব নির্দেশিকা নিয়ে আসতে পারবে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজেশ ঝা বলেন, পিএইচডির নিয়মে ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে গবেষণার সামগ্রিক গুণমানকে প্রভাবিত হচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে, পিয়ার রিভিউড জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা ছিল না। গবেষণার মান বাড়াতে এই পরিবর্তন এনেছে ইউজিসি। কিন্তু, সেটার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে (স্কলারশিপ এবং ফেলোশিপ দেরিতে প্রকাশের কারণে)। এখন আবার এই নিয়ম দূর করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই লাগাতার পরিবর্তনের ফলে গবেষকরা বিভ্রান্ত হবেন।’