দেশের নামকরা বড় কোম্পানিতেও চাকরির নিশ্চয়তা নেই। ব্যাপক ছাঁটাই হয়েছে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে। ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন দেশের মোট পাঁচটি বড় কোম্পানির ৫২,০০০ কর্মচারী। এমনই একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে অপ্রত্যাশিতভাবে চাহিদা ক☂মে যাওয়ায়, এই কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে রিটেইল খাতে।
দ্য ইকোনমিক টাইমস-এর রিপোর্ট অনুসারে, পাঁচটি সংস্থায় ১৭ শতাংশ কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়েছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স রিটেল, রেমন্ড, স্পেনসার, পেজ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং টাটꦯার টাইটান। বেশিরভাগ ছাঁটাই করা হয়েছে রিলায়েন্স রিটেইলে। এই সংস্থাটি গত অর্থ বছরে ৩৮০২৯ কর্মী ছাঁটাই করেছে।
রিটেইল বা খুচরো চাহিদা এত কমে গিয়েছে কেন
খুচরো চাহিদা কমে গিয়েছে কারণ ২০২২ সালের দীপাবলি থেকে গ্রাহকেরা পোশাক, লাইফস্টাইল পণ্য, ইলেকট্রনিক্স এবং ডাইনিং আউটের মতো জিনিসগুলিতে কম খরচ করতে শুরু করেছেন। এর ফলে 𝕴খুচরো বিক্রয়🍌 মাত্র ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যয় হ্রাসের প্রধান কারণগুলি ছিল মুদ্রাস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার এবং স্টার্টআপ এবং আইটি খাতে চাকরি হারানো।
খুচরো বা রিটেইল কী
খুচরো বা রিটেইল শব্দটি, এমন এক ধরনের ব্যবসাকে বোঝায়𒈔 যেখানে ব্যবসায়ীরা ব্যক্তি♈গত ব্যবহারের জন্য পৃথক ভোক্তাদের কাছে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে।
আরও পড়ুন: (Asset value of MPs: ৬১ শতাংশ লোকসভা সাংসদেꦡর সম্পত্তির পরিম🌳াণ পাঁচ কোটি টাকার বেশি)
বার্ষিক প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে
প্রতিবেদন অনুসারে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ২০৭৫৫২। যেখানে রেকর্ড অনুযায়ী ২০২২-২৩ সালে কোম্পানির ২৪৫৫৮১ জন কর্মচারী ছিল। একই সময়ে, টাইটানের প্রতিবেদনে, ২০২৩-২৪ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ১৭৫৩৫ জন। যেখানে গত বছর কর্মচারী ছিলেন ২৬১০৪ জন। টাইটাඣন মোট ৮৫৬৯ জনকে বসিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে পেজ ইন্ডাস্ট্রিজ তার ৪২১৭ জন কর্মীকে দরজা দেখিয়েছে। এই কোম্পানি ২০২৩-২৪ সালে ২২৫৬৪ জন কর্মী রেখেছে। যেখানে গত বছর কর্মচারী সংখ্যা ছিল ২৬৭৮১ জন। রিটেইলার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সিইও কুমার রাজাগোপালনের মতে, গত বছরের জুলাই মাসে রিটেইল সেক্টরে বিক্রয় মাত্র ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: (Lady doctor molested: রিপোর্টে ‘ধর্ষণ’ লিখতে হবে, অস্বী🅠কার করায় মহিলা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি, ধৃত যুবক)
সুদের হার বৃদ্ধি এবং মন্দার আশঙ্কা
একই সময়ে, প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩-২৪ সালে লাইফস্টাইল💛, দ্রুত পরিষেবা রেস্তোঁরা এবং মুদি বিক্রেতা খাতে প্রায় ২৬ হাজার লোক তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। ২০২২-২৩ সালে তাদের ৪.৫৫ লক্ষ কর্মচারী ছিল। যা নতুন অর্থবছরে ৪.২৯ লাখে নেমে এসেছে। একই সময়ে, এমন অনেক সংস্থা রয়েছে যেখানে কর্মচারীর সংখ্যা আবার বেড়েছে। ট্রেন্ট এখন তার সংখ্যা ১৯৭১৬ জন থেকে ২৯২৭৫ এ নিয়ে গিয়েছে। একই সময়ে, ডিমার্ট ৬০৯০১ থেকে ৭৩৯৩২ জন এবং ভিমার্ট ৯৩৩৩ থেকে ১০৯৩৫ জন কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। এরই পাশাপাশি এখন বাটাতে কর্মচারীর সংখ্যা ১০০৫১ থেকে ১০৪২২ হয়েছে।
আরও পড়ুন: (আরজি করে দুর্নীতির তদন্𝕴তে প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব)
সবমিলিয়ে, ভোক্🅺তারা মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার, আইটি সেক্টরে চাকরি হারানো এবং সম্ভাব্য মন্দা নিয়ে খুবই চিন্তিত। ফলে উৎসব এগিয়ে এলেও খরচ কমিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। কোভিডের পর থেকে টেক্সটাইল এবং গাড়ির বাজার খুব বেশি বৃদ্ধি পায়নি এবং খুচরা বা রিটেইল খাতে বিক্রি কমছে। এর গতি এখন মাত্র চার শতাংশ পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হার। সিবিআরই অনুসারে, আগে এটি ছিল নয় শতাংশ।