অন্য খেলা থেকে ক্রিকেটে এসে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, এমন নজির যে একেবারেই নেই এমনটা নয় মোটেও। তবে স্কটল্যান্ডের ২৪ বছর বয়সী লেগ স্পিনারের মতো কৃতিত্ব খুব কম খেলোয়াড়ের রয়েছে। সোমবার আইসিসি মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের মঞ্চে অনবদ্য এক নজির গড়েন স্কটল্যান্ডের আবতাহা মাকসুদ, যিনি এক দশক আগে দেশের হয়ে অন্য খেলায় প্রত🐲িনিধিত্ব করেছেন।
ক্রিকেটের ময়দানে পা দিয়েছেন ছোটবেলা থেকেই। তবে আবতাহা মাকসুদের প্রথম পছন্দ ছিল মার্শাল আর্ট। তায়কোন্ডোর ব্ল্যাক বেল্ট আবতাহা স্কটল্যান্ডের হয়ে কমনওয়েলথ গেমসে পতাকাও বয়েছেন। তবে ২০১৮ সালে স্কটল্যা♌ন্ডের মহিলা দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশের পর থেকে কেরিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু হয় মাকসুদের।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই উগান্ডার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় আবতাহার। সেই থেকে স্কটল্যান্ডের হয়ে মোট ৪৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সোমবার আমেরিকার বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপের কোয়া🌌লিফায়ার ম্যাচে একজোড়া উইকেট তুলে নেন মাকসুদ। সেই সুবাদে তিনি স্কটল্যান্ডের ম🧔হিলা ক্রিকেট দলের প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৫০টি উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন:- একটি মাঠে সব থেকে বেশ⭕ি IPL উইকেট, মালিঙ্গার ✤রেকর্ড ভেঙে সেরা ৫-এর শীর্ষে নারিন
অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫০টি উইকেট নিয়েছেন আবতাহা মাকসুদ। তিনি দেশের হয়ে ৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচেও মাঠেꦚ নেমেছেন। সংগ্রহ করেছেন ৯টি উইকেট।
সোমবার মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচে স্কটল্যান্ড ৪৪ রানে হারিয়ে দেয় আমেরিকাকে। প্রথমে ব্যাট করে স্কটল𝓰্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। ক্যাপ্টেন ক্যাথরিন ব্রাইস ৫১ বলে ৫৭ রান করেন। তিনি ৮টি চার মারেন। ২২ বলে ৩৪ রান করেন অ্যালিসা লিস্টার। তিনি ৪ট꧙ি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ২০ রান করেন লর্না জ্যাক। তিনি ৩টি চার মারেন। আমেরিকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন অদিতিবা চুড়াসামা ও ইশানি বাঘেলা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে আমেরিকার মহিলা ক্রিকেট দল ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১০৫ রানে আটকে যায়। ইশানি ২৬ বলে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান 🔯করেন। ২৪ রান করেন জীবনা। চূড়াসামা ২০ ও জেসিকা ১০ রানের যোগদান রাখেন। স্কটল্যান্ডের হয়ে ১৭ রানে ৪টি উইকেট নেন ক্যাথরিন ব্রাইস। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আবতাহা মাকসুদ।