শুভব্রত মুখার্জি: এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে একেবারে চুর্ণ করে শিরোপা জিতেছে ভারত। ১০ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে রোহিত বাহিনী। ২৬৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভা๊রত। এই জয়ের প্রায় ঘন্টাখানেক বাদে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের প্রেস কনফারেন্স কক্ষে প্রবেশ করেন রোহিত শর্মা। তখনও স্টেডিয়ামে ফেটেই চলেছে আতসবাজি। চারদিকে তখনও যেন উৎসবমুখর একটা পরিবেশ। আতসবাজির শব্দ এতটাই ছিল যে, রোহিতকে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে থামতে হয় মাঝপথে। মজা করেই রোহিত বলেন, ‘আরে রুক যাও ইয়ার, ওয়ার্ল্ড কাপ জিতনে কে বাদ লাগানা।’ অর্থাৎ ‘দাঁড়িয়ে যাও বন্ধু আমরা বিশ্বকাপ জেতার পরে বাজি ফাটিও।’
আর এটা সম্ভব হয়েছে মহম্মদ সিরাজের জন্য। তাঁর অনবদ্য বোলিং স্পেলﷺ ভারতের জয় কার্যত নিশ্চিত করে দেয়। প্রেস কনফারেন্সে সেই মহম্মদ সিরাজের বিষয়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দেন রোহিত। তিনি জানান, টানা সাত ওভারের স্পেল সিরাজকে দিয়ে করানোর পরে ভারতীয় দলের ট্রেনার রোহিত শর্মাকে ওখানেই 🦂থামতে বলেন! সিরাজকে দিয়ে আর বল না করানোর কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়াদের কাছে মুখ পুড়িয়ে ODI 🔜Ranking-এ তিনে নামল অজিরা, ফের শীর্ষে উঠল পাকিস্তꦜান
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোহিত বলেন, ‘এই জয়টা আমাদের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস দেবে। এখানে এসে এই ভাবে টুর্নামেন্ট জয়টা নিঃসন্দেহে বড় ব্যাপার। টু্র্নামেন্টের বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি নিশ্চিত যে, প্রতিটা চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে আমরা খুব ভালো ফল করেছি। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা অনেক বেশি পজিটিভকে সঙ্গী করেই এগিয়ে যাব। শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটার নয়, গোটা দলের জন্য এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা 🦩নানা পজিটিভ বিষয় পেয়েছি। আমাদের অনেক ব্যাটারকে বেশ চাপের মধ্যে ব্যাট করতে হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে আমাদের চার উইকেট তাড়াতাড়ি পরে গিয়েছিল। ওই ম্যাচে হার্দিক (পান্ডিয়া) এবং ইশান (কিষান) আমাদের হয়ে দারুণ খেলেছিল। আমাদের মিডল অর্ডার দারুণ খেলেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কুলদীপ যাদবও খুব ভালো বোলিং করেছে। নতুন বলে ভালো বোলিং করেছে বুমরাহও। কামব্যাক করার পরে দুর্দান্ত খেলেছে কেএল রাহুল। এর থেকে বোঝা যায়, মানসিক ভাবে কতটা প্রস্তুত কেএল রাহুল।’
আরও পড়ুন: বল সুইং করছিল, ব্যাটের সামনে বল🥃 ফেলার চেষ্টꦗা করেছি- সাফল্যের রহস্য ফাঁস সিরাজের
রোহিত আরও বলেন, ‘ও (সিরাজ) ওই স্পেলটায় (ফাইনালে ওপেনিং স্পেলে) টানা সাত ওভার বল করেছে। সাত ওভার বল 🎐করাটা মোটেও সহজ বিষয় নয়। আমি চেয়েছিলাম, সিরাজ যাতে আরA বোল꧃িং করে। কিন্তু আমি আমাদের ট্রেনারের থেকে বার্তা পাই যে, এবার ওকে (সিরাজকে) দিয়ে আর বোলিং নয়। ওকে থামাতে হবে। সিরাজ এদিন আরও বোলিং করতে মুখিয়ে ছিল। এতটাই ছন্দে ছিল যে, ও বোলিং করতে চাইছিল আরও। এটাই যে কোনও বোলার বা ব্যাটারের স্বাভাবিক স্বভাব। যখনই তারা একটা সুযোগ পায়, সেই সুযোগটাকে তারা কাজে লাগাতে চায়। আর আমার কাজটা তো এখানেই। কোনও কিছুই যাতে অতিরিক্ত না হয়ে যায়, আমাকে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হয়। আমার মনে আছে ত্রিবান্দ্রমেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে সিরাজ টানা ৮-৯ ওভার বল করেছিল। ওই ম্যাচে ও তখন চার উইকেট নিয়েছিল। তবে এদিন আমি মনে করি সাত ওভারটই যথেষ্ট ছিল।’