বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি শুরু ২২ নভেম্বর। নিজেদের ঘরের মাঠে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এমনভাবে সূচি বানিয়েছে, যাতে মাঠের বাইরেও ভারতের কাজটা যতটা সম্ভব কঠিন করা যায়। প্রথম টেস্ট শুরু ২২ নভেম্বর। প্রতিদিনের খেলা শুরুর সময় হল সকাল ৭ টা ৫০ মিনিট (ভারতীয় সময় অনুযায়ী)। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৬ ডিসেম্বর। দিনরাতের টেস্ট। গতবার যখন অস্ট্রেলিয়ায় এসেছ🌄িল ভারত, তখনও অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্ট খেলা হয়েছিল। তাতে ভরাডুবি হয়েছিল ভারতের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। প্রতিদিনের খেলা শুরুর সময় হল সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট (ভারতীয় সময় অনুযায়ী)। তৃতীয় টেস্ট গাব্বা বা ব্রিসবেনে। শুরু ১৪ ডিসেম্বর। প্রতিদিনের খেলা শুরুর সময় হল ভোর ৫ টা ৫০ মিনিট (ভারতীয় সম𒁏য় অনুযায়ী)। চতুর্থ টেস্ট হল বক্সিং ডে টেস্ট। আর অস্ট্রেলিয়ায় বক্সিং ডে টেস্ট মানেই মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট শুরু ২৬ ডিসেম্বর। প্রতিদিনের খেলা শুরুর সময় হল ভোর ৫ টা। আর সিরিজের শেষ তথা পঞ্চম টেস্ট হল ‘নিউ ইয়ার’ টেস্ট। প্রতিবারের মতো এবারেরও ভেন্যু হল সিডনি। সিডনিতে টেস্ট ৩ জানুয়ারি। প্রতিদিনের খেলা শুরুর সময় হল ভোর ৫ টা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যে সূচি তৈরি করেছে, তা থেকেই স্পষ্ট যে অজিদের মনোভাব একটাই - ভারতকে হারাতেই হবে। ২০১৮-১৯ সাল এবং ২০২০-২১ সালে ঘরের মাঠে ভারতের কাছে টেস্ট সিরিজ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮-১৯ সালে তাও অস্ট্রেলিয়া পূর্ণশক্তির ছিল না। কিন্তু ২০২০-২১ সালে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নাররা ফিরে এসেছিলেন। প্রথম টেস্টে ৩৬ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলি ফিরে গিয়েছিলেন। তারপরও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল ভꦇারত। বিশেষত গাব্বায় তো কার্যত ভারতের ‘সি’ দল নেমেছিল। তারপরও যে গাব্🐓বায় ৩২ বছর অস্ট্রেলিয়া অপরাজিত ছিল, সেখানে হারতে হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে আগেরবার যে ‘ভুল’ হয়েছিল, সেগুলি করেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট পার্থে হয় না। এবার প্রথম টেস্ট পার্থে। জসপ্রীত বুমরাহকে ক্লান্ত করে দেওয়া লক্ষ্য। তারপরই দিনরাতের টেস্ট। তারপরই অস্ট্রেলিয়ার গাব্বা দুর্গে ম্যাচ। আর প্রথম তিনটি ম্যাচের মধ্যে এতটা ব্যবধান বেশি, যাতে অজি পেসাররা ক্লান্ত না হন। গতবার ভারত সিরিজের শেষের দিকে মিচেল স্টার্কদের কিছুটা ক্লান্ত লাগছিল।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টের সূচি FAQ's
২০০৩ সালে অ্যাডিলেড টেস্টে জিতেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে দ্রাবিড় ও লক্ষ্মণের কত রানের জুটি ছিল?
রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের মধ্যে পঞ্চম উইকেটে ৩০৩ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। ১৪৮ রান করেছিলেন লক্ষ্মণ। ২৩৩ রান করেছিলেন দ্রাবিড়।
২০০১ সালে ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারত কত রানে পিছিয়ে ছিল?
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৪৪৫ রান করেছিল। আর ভারত মাত্র ১৭১ রানেই অল-আউট হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ২৭৪ রানে পিছিয়ে ছিল ভারত।
অস্ট্রেলিয়ায় কোন ভারতীয়ের বক্সিং ডে টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি আছে?
অজিঙ্কা রাহানে। ২০১৪ সালে ১৪৭ রান করেছিলেন। সেই টেস্ট ড্র হয়েছিল। আর ২০২০ সালে ১১২ রান করেছিলেন। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছিল।
২০২১ সালে সিডনি টেস্টে কতগুলি বল খেলে ড্র করেছিলেন অশ্বিন ও বিহারী?
চতুর্থ ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হনুমা বিহারী ২৫৮টি বল খেলেছিলেন। অপরাজিত ৬২ রান যুক্ত হয়েছিল।