টানটান উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। অবস্থা এমন যে ম্যাচ যেকোনও পক্ষের দিকেই ঝুঁকতে পারে। অর্থাৎ জয়ের দরজা দুই দলের জন্যই এখনꩲও সমানভাবে খোলা রয়েছে। এদিন অজিদের বোলিং আক্রমণের সামনে একেবারে দেওয়ালের মতো দাঁড়িয়ে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। প্রথমদিকে ম্যাকেনজি ও আলিক আথানাজের জুটি ইনিংসের হাল ধরে। এরপর লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের মধ্যে কেভিন সিনক্লেয়ার, জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে একটি নজরকাড়া পার্টনারশিপ করেন। সব মিলিয়ে, আপাতত কিছুটা চাপেই রয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। অন্যদিকে, এদিন অজি বোলারদের তরফ থেকে দাপুটে বোলিং আসলেও একেবারে ম্যাচ💯 তাদের হাতের মুঠোয় বলা যায় না। কারণ অল্পরানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেও ইতিমধ্যেই তারা দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছেন।
শনিবার, অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি ছিল তৃতীয় দিনের খেলা। এক উইকেটে ১৩ রান নিয়ে খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও এদিন সকালে প্রথমের দিকে কোনও সাফল্য পাইনি অজি বোল𒆙াররা। তবে মাঝের ওভারগুলিতে উইকেট ফেলে ম্যাচে ফেরেন তারা। ১৯৩ রানে শেষ হয় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। অর্থাৎ জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে তারা লক্ষ্যমাত্রা রাখে ২১৬। হেজেলউড ও নাথান লিয়ন দুজ♏নেই নেন তিনটি করে উইকেট এবং একটি করে উইকেট নিজেদের ঝুলিতে তোলেন মিচেল স্টার্ক ও ক্যামেরন গ্রিন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটꦡা একেবারেই ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ১১ ওভারের মধ্যেই দুটি উইকেট হারায় তারা। প্রথম উইকেটটি যায় ২৪ রানে এবং দ্বিতীয়টি ৪২ রানে। দিনের শেষে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন স্টিভ স্মিথ ৩৩ রানে এবং গ্রিন ৯ রানে। এবার দেখার বি𝓀ষয়, শেষ পর্যন্ত ম্যাচ পকেটে তুলতে পারে কিনা অস্ট্রেলিয়া।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে ৩১১ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিলভা করেন ৭৯, ক্যাভেম হজ করেন ৭১ এবং কেভিন সিনক্লেয়ার করেন ৫০। মিচেল স্টার্ক তোলেন চারটি উইকেট। জবাবে লিড নিতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলেই ইনিংসের ঘোষণা করে দেয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন উসমান খোয়াজা। উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি করেন ৫৬ এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। ক্যারিবিয়ান বোলার মধ্যে দাগ কাটতে সফল হয়েছেন আলজারি জোসেফ। তিন💖ি তুলেছেন চারটি উইকেট।