ভারতীয় ক্রিকেটমহলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের টিমম্যান হিসেবে সুনাম রয়েছে। দলের প্রয়োজনে যে কোনও ভূমিকা নিতে প্রস্তুত থাকেন অশ্বিন। বিশেষ করে অশ্বিনের ক্রিকেট মস্তিষ্ক অত্যন্ত ক্ষুরধার বলেই সার্টিফিকেট দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে নিজের ক্রিকেট জ্ঞান যথাযথ কাজে লা🍸গাচ্ছেন অশ্বিন।
ডিন্ডিগুল ড্রাগনসের হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে ওপেন করতে নামেন অশ্বিন। প্রথম দু'ম্যাচে রান পাননি। তবে তৃতীয় ম্যাচে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ে চমকে দেন সকলকে। মাত্র ২০ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই চতুর্থ ম্যাচে মনে করা হয়েছিল অশ্বিন ব্যাট হাতেꦛ ফের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামবেন। তবে দলের স্বার্থে এবার তিনি ভিন্ন পথে হাঁটেন।
আসলে চিপকের গত ম্যাচে অশ্বিন একপ্রান্ত দিয়ে ঝড় তুললেও মাত্র ৭ ওভারেই ৬টি উইকেট হারায় তাঁর দল। তাই এবার বৃষ্টির জন্য ফের ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে দাঁড়ানোয় অ𓆏শ্বিন নিজেকে পিছনের দিকে রাখার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে প্রয়োজনে শেষদিকে ব্যাট চালাতে পারেন তিনি। যদিও শেষমেশ অশ্বিন༺ের ব্যাট হাতে মাঠে নামার প্রয়োজন পড়েনি।
বুধবার কোয়েম্বাটরে তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের ১৬তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে অশ্বিনের ডিন্ডিগুল ড্রাগনস ও সাই কিশোরের নেতৃত্বাধীন তিরুপুর তামিলান্স। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ ছোট হয়ে দাঁড়ায় ১༺৩ ওভার প্রতি ইনিংসে। টস জিতে অশ্বিন শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান সাই কি𝓰শোরদের।
তিরুপুর নির্ধারিত ১৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে। ৩০ বলে ৩৬ রান করেন ওপেনার রাধাকৃষ্ণণ। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৬ বলে ৩২ রান করেন অপর 🐲ওপেনার তুষার রাহেজা। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেꦿন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে অপরাজিত ২৮ রান করেন অমিত সাত্বিক।
ডিন্ডিগুলের হয়ে ৩ ওভারে ১৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন সুবোধ ভাটি। অশ্বিন ৩ ওভারে ২৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন। বরুণ চক্রবর্তী ৩ ওভারে ২৮ রান খরচ করেও উইকেট পাননি। ২ ওভ𒉰ারে ১৩ রান খরচ করেন সন্দীপ ওয়ারিয়র।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডিন্ডিগুল ড্রাগনস ১১.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১১১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ওপেন করতে নেমে বিমল কুমার ১৭ ও শিবম সিং ৪ রান করে আউট হন। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ভূপতি কুমা🏅র। তিনি ২৫ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ১টি চার ও ৫টি ছক্কা।
২৫ বলে ৩১ রান করে নট-আউট থাকেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। ত💖িনি ৩টি চার মারেন। ইন্দ্রজিৎ এদিন তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে নিজের ৫০তম ম্যাচে মাঠে নেমে ১০০০ রানের মাইলস্টোন টপকে যান। ৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতেন অশ্বিনরা। সেই সুবাদে তাঁরা লিগ টেবিলের ৫ নম্বরে উঠে আসেন। ম্যাচের সেরা হন সুবোধ।