বুধবার বিজয় হাজারে ট্রফির সেমিফাইনালে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল, যা দেখে প্রথমে সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এবং সেই ঘটনা ঘটিয়ে পরে অবশ্য সকলের মন জয় করেন তামিলনাড়ুর তারকা ব্যাটার বাবা ইন্দ্রজিৎ। ইনিংসের বিরতির সময় পড়ে গিয়ে ঠোঁট বাজে ভাবে কেটে গিয়েছিল ইন্দ্রজিতের। তবে দলের প্রয়োজনে মুখে টেপ লাগিয়ে 🌊হলেও, তিনি ব্যাট করতে নেমে পড়েছিলেন। কোনও রকম ভীতি দেখাননি। বরং ব্যাট করতে নেমে তিনি দাপটই দেখিয়েছেন।
হরিয়ানার বিরুদ্ধে ২৯৪ রান ত♐াড়া করতে নেমে তামিলনাড়ু মাত্র ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেই সময়ে ব্যাট করতে নামেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। তখন দেখা যায়, তিনি মুখে টেপ লাগিয়ে ক্রিজে এসেছেন। নিঃসন্দেহে এতে বড় সমস্যা হচ্ছিল ইন্দ্রজিতের। কিন্তু তিনি হার মানেননি। লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।
তামিলনাড়ু ৩ উইকেট হারিয়ে বসার পর, ফর্মে থাকা ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানই তা♍মিলনাড়ুর ভরসা হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি শুরুর দিকে কয়েকটি ডেলিভারিতে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। এবং তাঁর মুখে লাগানো টেপ ঠিক করার জন্য এবং ড্রেসিꦦং চেক করতে ডাক্তারি সহায়তার প্রয়োজন পড়েছিল। যাতে এটি আলগা হয়ে না পড়ে। বা পড়ে না যায়।
ইন্দ্রজিৎ যখন ডিপ ইন ক্যাচ আউট হন তখন তিনি ৬৪ রান করে ফেলেছিলেন। এবং ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে ইন্দ্রজিৎ আউট হওয়ার পꦯরে কেউ উইকেটে সে ভাবে টিকতে পারেননি। যার নিটফল, তামিলনাড়ু ৬৩ রানে ম্যাচটি হেরে যায়। ইন্দ্রজিতের লড়াই বিশ বাও জলে ডুবে যায়। তবে তাঁর সাহস এবং প্রচেষ্টা দেখে সকলে রীতিমতো মুগ্ধ।
তামিলনাড়ুর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ম্যাচের পরে জানান যে, হরিয়ানার ইনিংসের শেষে আইস বাথ নিয়ে বেরিয়ে আসার সময়ে ইন্দ্রজিৎ পড়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর উপরের ঠোঁটে গভীর ভাবে কেটে যায়। ইন্দ্রজিতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ঠোঁটে সেলাইও পড়ে। পরে তিনি তাঁর শুভ🃏াকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি শেয়ার করেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের উদ্বেগ এবং শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মিড-ইনিংসে আইস বা🗹থ থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে খুব খারাপ ভাবে পড়ে গিয়েছিলাম। বাথরুমে মুখ থুবড়ে পড়ে বেশ খানিকটা কেটে গিয়েছিল। ঠোঁটের উপরের অংশে এবং ঠোঁটের ভেতরের অংশে গভীর ভাবে কেটে গিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল। কোনও ভাবে ব্যাট করতে পারলেও, দলের জন্য ফিনিশিং লাইন অতিক্রম করতে না পারায় হতাশ। হাসপাতালে গিয়ে আমার সেলাই করতে হয়েছে। শীঘ্রই ফিরে আসব আবার। আপনাদের আবারও ধন্যবাদ।’
এদিকে হিমাংশু রানার ১১৬ রানের হাত ধরে তামিলনাড়ুকে ২৯৪ রানের লক্ষ্য দেয় হরিয়ানা। এবং তারা ৪৭.১ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট 🌳করে দেয় দক্ষিণ ভারতের দলটিকে। তামিলনাড়ুর হয়ে ইন্দ্রজিৎ ছাড়া বাকিরা কেউ হাফসেঞ্চুরি করা তো দূরের কথা, ৩৫ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন দীনেশ কার্তিক। ৬৩ রানে ম্যাচ জিতে বিজয় হাজারের ফাইনালে উঠে পড়ল হরিয়ানা।