উদ্দাম পার্টির পর রাতের শহরে দুরন্ত গতিতে তাঁদের এমইউভি (মাল্টি ইউটিলিটি ভেহিকল) ছুটিয়েছিলেন সাত তরুণ-তরুণী। আর সেই কারণেই প্রাণ দিয়ে খেসারত দিতে হয়েছিল তিন তরুণ ও তিন তরুণীকে। সপ্♔তম তরুণ গুরুতর জখম হয়ে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি।
গত ১২ ꦬনভেম্বর ভোর রাতে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের ওএনজিসি চক এলাকায় যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেই সম্পর্কে এমনই তথ্যাবলী সামনে আসছে।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী সেই দুর্ঘটনায় মৃত্য হয়েছিল - গুনীত সিং, কামাক্ষী সিঙ্ঘল, নভ্য়া গোয়েল, র𒉰🌞িষভ জৈন, অতুল আগরওয়াল এবং কুণাল কুকরেজার। এঁদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন দেরাদুনের বাসিন্দা হলেও কুণালের বাড়ি হিমাচলপ্রদেশের চাম্বা এলাকায়।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় একমাত্র প্রাণে বেঁচে যান সিদ্ধেশ আগরওয়া𒉰ল। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল হলেও তিনি পুলিশকে বয়ান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই বলেই টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশꦐিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ১২ তারিখ ভোর রাতে যে পার্টি থেকে এই সাত তরুণ-তরুণী ফিরছিলেন🅷, সেই পার্টি দিয়ജেছিলেন এই সিদ্ধেশই।
বেপরোয়া গতিই কি দুর্ঘটনার কারণ?
এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। সেই তদন্তের নেতৃত্বে রয়🌄েছেন ক্যান্টনমেন্ট থানার ইন্সপেক্টর কে সি ভাট।
ইন্সপেক্টর ভাটের দাবি, যে ট্রাকের স𒆙ঙ্গে সংঘর্ষের জেরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এমইউভি-টি দুমড়ে-মুচড়ে গ🐭িয়েছিল, সেই ট্রাকের চালক অন্তত এই প্রাণঘাতী ঘটনার জন্য দায়ী নন।
আসলে এমইউভি-টি এতটাই দ্রুত গতিতে চলছিল যে চালক গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। যার জেরে সরাসরি ওই ট্রাকের বাঁদিকের রেয়ার সাইড বা ব্লাইন্൲ড স্পটে এসে সজোরে ধাক্কা মারেন।
এই প্রসঙ্গে ইন্সপেক্টর ভাট বলেন, 'যেহেতু এমইউভি-ট🌱ি যিনি চালাচ্ছিলেন, তিনিই এই গাড়ির মালিক এবং তিনি আর জীবিত নেই, তাই এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে আমরা অন্যান্য আইনি বিকল্প ক🅘ী কী আছে, তা খতিয়ে দেখছি। কারণ, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির মালিকের বয়ানের ভিত্তিতে তো আর অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব নয়।'
প্রাথমিক তদন্তে সামনে আসা তথ্যাবলী:
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরꩵেছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তেই অন্য একটি বিলাসবহুল গাড়ি সংশ্লিষ্ট এমইউভি-টিকে ওভারটেক করে এগিয়ে যায়।
মনে করা হচ্ছে, এটা দেখেই এমইউভি-র চালকও ঠিক করেন তিনি ওই গাড়িটি๊কে টপকে যাবেন। এরপরই গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে দেন তিনি। কিন্তু, অন্য গাড়িকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার বদলে সরাসরি ধাক্কা মারেন একটি কন্টেনার ট্রাকের পিছনে।
আরও জানা গিয়েছে, যে রাস্তার মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছেꦅ, সংশ্লিষ্ট কন্টেনার ট্রাকটি সেখান দিয়ে একেবারে নিয়ন্ত্রিত গতিতেই রাস্তা পার করছিল। কিন্তু, দ্রুত গতির এমইউভি-র চালক সামনে কন্টেনার ট্রা💃ক দেখেও নিজের গতি কমাতে বা গাড়িটি থামাতে পারেননি।
সিসিটিভি ফুটেজে মিলেছে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ:
দুর্ঘটনাস্থল এবং তার কাছাকাছি থাকা একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দে🧸খা গিয়েছে, স্থানীয় চেকপয়েন্টগুলিতে ওই এমইউভি-র গতি স্বাভাবিক ছিল।✨ কিন্তু, দুর্ঘটনার ঠিক আগে গাড়িটির গতি হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়!
অন♑্যদিকে, যে ট্রাকের পিছনে গাড়িটি ধাক্কা মেরেছিল, সেটি একেব♍ারে নিয়ম মেনেই নির্দিষ্ট গতিতে চলছিল। ওই ট্রাকটি ৬ মিনিটে ১.৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ও অভিযোগ:
স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর মালিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগেই ওই এমইউভি-টি প্যাসিফিক মলের কাছ দিয়ে অত্যন্ত দ্রুত ও বেপরোয়া গꦉতিতে বেরিয়ে গিয়েছিল।
ওই ব্যক্তির দাবি, দ্রুত গতির গাড়িটি রাস্তার 'রং সাইড' দিয়ে যাচ্ছিল। এমনকী, রাত ১টা নাগাদ ওই রেস্🥃তোরাঁর মালিক-সহ🍌 কয়েকজন অল্পের জন্য ওই এমইউভি-র ধাক্কা খাওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান!
তাঁর অভিযোগ, গাড়িটির এহেন গতি দেখেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গাড়িটিকে যাতে অবিলম্বে থামানো হয়, সেই আবেদন জানিয়ে এমার্জেন্সি হেল্প লাইনে ফোন করার পাশ🐓াপাশি, এসএসপি এবং মুখ্যমন্ত্রীর অফিসকে সতর্ক করেছিলেন তিনি।
ওই রেস্তোরাঁ মালিকের অভিযোগ, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করার পরও প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। যদিও, সকাল হতেই তিনি জানতে পারেন, ওই♏ গাড়িটিই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে এবং তাতে ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে।