টি২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন বাংলাদেশের পেসার এবাদত হোসেন। আর মাত্র হাতে দু মাস সময় রয়েছে, তার আগে বাংলাদেশের এই বোলারের ছিটকে যাওয়ায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে তাঁরা। যদিও বাংলাদেশের এই পেসার দাবি করেছিলেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে আয়োজিত হতে চলা টি২০ বিশ্বকাপে খেলতে পার🤡বেন। কিন্তু বাংলাদেশের ফিজিওর তরফ থেকে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, জুন মাসে আয়োজিত হতে চলা টি২০ বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা বিন্দুমাত্রও নেই। কোনওভাবেই তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যে ফিট হবেন না।
আরও পড়ুন-‘ওরা তো সব ২৫-৩০ রানের প্লেয়ার’,বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে বার🉐্তা প্রাক্তন নির্বাচকের
গত ডিসেম্বর মাসেই অ্যান্টিরিয়র ক্রুসিয়েট পেশীতে অস্ত্রোপচার হয় এবাদত হোসেনের। গত বছর এশিয়া কাপ খেলতে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান তিনি। এরপর থেকেই মাঠের বাইরে ছিলেন। বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। আশা করেছিলেন ছয় মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে টি২০ বিশ্বকাপে খেলবেন। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে তার পক্ষে খেলা সম্ভব হবে না বলেই জানাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল টিম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ফিজিও দেবাশিস চৌধুরি বলছেন, ‘কোনওভাবেই টি২০ বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নেই। আমরা এই অবস্থায় ওর খেলার কথা চিন্তাভাবনাও করছি না। ওই সময়ের মধ্যে এবাদত কোনওভাবেই ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে পারবে না। আর মাত্র দু মাস সময় রয়েছে। ওর অস্ত্রোপচার হয়েছে ডিসেম্বরে। এই ধরনের চোট ঠিক হতে মোটামুটি এক বছর লাগে। যদি কমপক্ষে ১০ মাসও লাগে, তাও তো বিশ্বকাপের আগে ওর ম্যাচ ফিট হওয়া হবে না’। যদিও গতবছর অগস্টেই অস্ত꧟্রোপচার হয়েছিল এবাদতের।
আ▨রও পড়ুন-কোচ, ক্যাপ্টেনকে না জানিয়ে ব্যাট করতে নেমে যেতেন ধোনি,বিস্ফোরক অভিযোগ অজির
কয়েক মাস আগেই অবশ্য নিজের ফিটনেস নিয়ে আপডেট দিতে গিয়ে এবাদত দাবি করেছিলেন বেশ ভালোই রিহ্যাব হচ্ছে তার। আসতে আসতে ফিটনেস ফিরে পাচ্ছেন। বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপে খেলব বলেই এত কষ্ট করছি। যেভাবেই হোক ফিট হয়ে উঠতেই হবে। আমাদের বিসিবির মেডিক্যাল♚ ইউꦦনিটও খুব সাহায্য করছে। পেশীর জোর বাড়ানোর জন্য স্যান্ড ট্রেনিংও করছি। আশা করছি ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে’।
আরও পড়ꦿুন-T20 বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সঞ্জুকে চাইছেন লার🅘া, স্যামসনকে দিয়ে ওপেন করানোর দাবি আম্বাতির
এদিকে অপর দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে সুসংবাদ দিয়েছেন বিসিবির চিফ ফিজিও। সৌম্য সরকার এবং তাজিজুল ইসলাম, দুই ক্রিকেটারেরই হাঁটুতে চোট ছিল। দুজনেই খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন। দুই ক্রিকেটারেরই অস্ত্রোচপারের দরকার নেই। বিশ্বকাপের আগেই তাঁদের জিম্বাবোয়ে সিরিজে পাওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন দেবাশিস চৌধুরি। এদিকে এবাদতের পরিবর্ত হিসেবে খালেদ আহমেদ এবং তানজিম হাস🐼ানের কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।