প্রথমত, বিদেশি ক্রিকেটারদের নিলামে পছন্দ মতো দাম না পেয়ে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ার রাস্তা বন্ধ করেছে বিসিসিআই। দ্বিতীয়ত, ব🌸িদেশি তারকাদের মেগা নিলামে অংশ না নিয়ে মিনি নিলামে ফাঁকতালে বিস্তর টাকা হাতানোর কৌশলও ধরা পড়ে গিয়েছে বিসিসিআয়ের কাছে। সেই চালাকিও আর চলবে না আইপিএলে। এবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এমন এক নিয়ম চালু করছে, যার ফলে মিনি নিলামে ২০-২৫ কোটি টাকার লটারি লাগা আর সম্ভব নয় বিদেশি ক্রিকেটারদের।
এবছর আইপিএল নিলামের নিয়মে বিস্তর রদবদল করেছে বিসিসিআই। যার ফলে ২০২৫-এর মেগা নিলামে যাই হোক না কেন, মিনি নিলামে কোনও বিদেশি ক্রিকেটারই আ♊র ১৮ কোটি টাকার বেশি হাতে পাবে না। তার থেকে কমেও আটকাতে পারে বিদেশি তারকাদের চুক্তির꧑ অর্থ।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের সব থেকে দামি ক্রিকেটার যত টাকা পাবেন, এ🃏বং এবছর আইপিএলের সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি ১৮ কোটির মধ্যে যে অঙ্কটি কম হবে, ২০২৬-এর মিনি নিলামে একজিন বিদেশি ক্রিকেটার সর্বোচ্চ সেই পরিমাণ অর্থ হাতে পেতে পারেন। অর্থাৎ, ২০২৫ নিলামের সব থেকে দামি ক্রিকেটার এবং ২০২৫ আইপিএল রিটেনশনের সব থেকে দামি ক্রিকেটারের মধ্যে যাঁর দাম কম হবে, পরের মিনি নিলামে সেই পরিমাণ অর্থই বিদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ বলে বিবেচিত হব☂ে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এব🔴ছর কোনও ক্রিকেটারকে সর্বোচ্চ ১৮ কোটি টাকায় রিটেন করতে পারবে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। যদি আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে কোনও ক্রিকেটারের দাম ওঠে সর্বোচ্চ ২০ কোটি, তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি-র (১৮ কোটি) পরিমাণ কম হয়ে দাঁড়াবে।
অর্থাৎ, কোহলিকে যদি আরসিবি ১৮ ক🅷োটিতে রিটেন করে এবং ইশান কিষানের নিলামে দাম ওঠে সব থেকে বেশি ২০ কোটি, তাহলে কোহলির দাম (২০২৫-এর সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি) দাঁড়াবে ইশানের (২০২৫ নিলামের সব থেকে দামি ক্রিকেটার) থেকে কম। এমন ক্ষেত্রে ২০২৬-এর মিনি নিলামে কোনও বিদেশি⛎ ক্রিকেটার ১৮ কোটির (দু'টির মধ্যে যেহেতু কম) বেশি টাকা পাবেন না।
অন্যদিকে, কোহলিকে যদি আরসিবি ১৮ কোটিতে রিটেন করে এবং ইশান কিষানের নিলামে൩ দাম ওঠে সর্বোচ্চ ১৬ কোটি, তাহলে কোহলির দাম (২০২৫-এর সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি) দাঁড🃏়াবে ইশানের (২০২৫ নিলামের সব থেকে দামি ক্রিকেটার) থেকে বেশি। এমন ক্ষেত্রে ২০২৬-এর মিনি নিলামে কোনও বিদেশি ক্রিকেটার ১৬ কোটির (দু'টির মধ্যে যেহেতু কম) বেশি টাকা পাবেন না।
এক্ষেত্রে ২০২৬-এর মিনি নিলামে কোনও বিদেশি ক্রিকেটারকে কোনও দল ২৫ কোটি টাকায় কিনলেও সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ১৮ কোটির বেশি পাবেন না (তারও কম পেতে পারেন)। বাকি অর্থ জম🥀া পড়বে বিসিসিআইয়ের প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ডে।