ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। শেষমেশ সত্যি হল সম্ভাবনা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন জয় শাহ। সেই সঙ্গে দুর্দান্ত এক নজিরও গড়ে ফেলেন বিসিসিআই সচিব। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার🦂 বাগডোর হাতে নিচ্ছেন শাহ। এত কম বয়সে আর কেউ আইসিসির প্রধান হননি। অর্থাৎ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার সব থেকে কম বয়সী চেয়ারম্যান হলেন জয় শাহ।
এর আগে ভারত থেকে আইসিসির প্রধান হয়েছেন চারজন। জগমোহন ডালমিয়া, শরদ পাওয়ার, এন শ্রীনিবাসন ও শশাঙ্ক মনোহরের পরে পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিকꦓ ক্রিকেট সংস্থার মসনদে বসলেন জয় শাহ। যদিও এখনই আইসিসির দায়িত্বভার হাতে পাচ্ছেন না তিনি। কেননা চেয়ারম্যান হিসেবে জয় শাহর মেয়াদ শুরু হবে ১ ডিসেম্বর থেকে। নভেম্বরের🍌 শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে।
আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে বার্কলের আরও একটি মেয়াদ বাকি ছিল। তবে তিনি জানিয়ে দেন যে, নভেম্বরের পরে তৃতীয় দফায় তিনি আর আইসিসি চেয়া🎀রম্যান পদের দাবি জানাবেন ꦉনা। সুতরাং, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে নতুন চেয়ারম্যান বেছে নিতেই হতো।
নতুন আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মন🦂োনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিল ছিল ২৭ অ♕গস্ট। যদি একাধিক মনোনয়ন জমা পড়ত, তবে ভোটাভুটির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হতো নতুন আইসিসি চেয়ারম্যান। তবে জয় শাহ ছাড়া আর কেউ এবার মনোনয়ন জমা দেননি। আইসিসির সব ডিরেক্টররাই বিসিসিআই সচিবকে পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান। সুতরাং, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়ে যান শাহ।
বিসিসিআই সচিব হিসেবে আরও একবছর মেয়াদ রয়েছে জয় শাহর। তার পরে তাঁকে বাধ্যতামূলক কুলিং অফে যেতে হবে। যদিও সেই একবছর পূর্ণ করার আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছাড়তে হবে জয় শাহকে। বিসিসিআইকে খুঁজে নিতে হবে নতুন সচিব। বিসিসিআইয়ের পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত জয় শাহই বোর্ড সচিবের পদে থাকবেন। তার পরে কার হাতে উঠবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের রাশ🧔, সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।
আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের মেয়াদ শেষ করে জয় শাহ পুনরায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে ফিরতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁর কুলিং অফ পিরিয়ড🧜ও কাটানো হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে জয় শাহকে বিসিসিআই সভাপতি পদে দেখতে পাওয়া অসম্ভব নয় মোটেও।