সরগরম বঙ্গ ক্রিকেট। এমনিতেই মহমেডান বনাম টাউন ক্লাব♑ের ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এবার এর মধ্যেই আবার ফের শিরনামে বাংলার ক্রিকেট। তবে এবার কী এমন ঘটনা ঘটলো? ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় ডিভিশনের তালতলা বনাম জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচে। সেই ম্যাচেই আম্পায়ারকে দুই দলের তরফ থেকেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পরই একটি চিঠিও পাঠানো হয় সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান আম্পায়াররা। অনেক আম্পায়ার এমনও দাবি করেছেন যেཧ তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, যে চিঠি তারা পাঠিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, 'তালতলার এক ক্রিকেটার এলবিডব্লু হওয়ার পর আম্পায়ারের দিকে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন প্রথমে এবং এরপর তালতলার কোচ কাঞ্চন দাস গালিগালাজ শুরু করে দেন। দলের অধিনায়ক মণীশ সিং রাওয়াত কট বিহাইন্ড হলে দলের সকলকে নির্দেশ দেন মাঠ ছেড়ে না বেরিয়ে ঝামেলা করতে। ম্যাচ অবজার্ভার নি൩জে গিয়েও পরিস্থিতি ন🧸িয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। উল্টে তাঁর সঙ্গেও অভদ্র ব্যবহার করা হয়। এরপর জর্জ টেলিগ্রাফ ব্যাট করতে নেমেও তাদের অধিনায়ককে আউট দেওয়া হলে তিনি ব্যাট নিয়ে তেড়ে যান আম্পায়ারের দিকে। একই সঙ্গে করেন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। হুমকিও দেওয়া হয়। খেলা শেষে সেই প্লেয়ারের সঙ্গে অবজার্ভার কথা বলতে গেলে ফের তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। তাঁকে বলা হয় যে সিএবির যে কর্তার সঙ্গে ইচ্ছে তিনি কথা বলতে পারেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না, কারণ সিএবি নাকি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।'
এই প্রসঙ্গে আম্পায়াররা নিজেদের দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জানেন যে আম্পায়ারদের সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়নি বলে তারা কিছু করতে পারে না এবং পেটের দায় অনেক অপমান হজম করতে হয়। এছাড়া মহমেডান বনাম টাউন ম্যাচ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন অনেক আম্পায়ার। তাদের বক্তব্য যে তাদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হলে তারা সেই মুহূর্তেই ম্যাচটিকে বন্ধ করতে পারতো। কিন্তু ক্ষমতা না দেওয়ায় মুখ বুজে দেবব্রত দাসের কুকীর্তি মেনে নিতে হচ্ছে। এমনকী অনেক আম্পায়ারকে প্রাণনাশের হুমকিও পেতে হচ্ছে। অনেকে পিচ কিউরไেটরদের অপদার্থতার কথাও তুলে ধরেন এবং দাবি করেন যে সিএবি সভাপতির নির্দেশিকা উপেক্ষা করে নাকি খেলার আগের দিন সন্ধ্যায় মাঠে অতিরিক্ত জল দিয়ে রাখছেন কিউরেটররা।