ভেস্তে গেল বাংলা বনাম বিহারের রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ। কল্যাণীতে সোমবার চতুর্থদিন পর্যন্ত এক বলও খেলা সম্ভব হয়নি। এমনকী টস পর্যন্ত হয়নি বাংলা-বিহার ম্যাচে। যার জেরে রঞ্জি ট্রফিতে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হল বাংলাকে।&n🌸bsp;এই ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট ꦚপাওয়াই লক্ষ্য ছিল বাংলার, সেখান থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে খুশি থাকতে হল তাদের। এর আগে প্রথম ম্যাচ থেকে ৩ পয়েন্ট এসেছিল বাংলার। তবে কল্যাণীতে কিন্তু সেভাবে বৃষ্টি হয়নি ৪ দিন। মাত্র ২ দিন বৃষ্টি হয়েছিল। তাও আবার ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ৪ দিনই ম্যাচ শুরু করা সম্ভব হয়নি। মূলত মাঠ ভেজা থাকাই দায়ী এর জন্য। প্রশ্ন উঠছে CAB-র ভূমিকা নিয়েও।
তবে ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট বিহার। প্রথম ম্যাচে হরিয়ানার কাছে ইনিংসে পরাজিত হওয়ার পর তাদের কাছে ১ পয়েন্টও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু বাংলার এই ম্যাচে পুরো পয়েন্ট পাওয়ার উপরই নজর ছিল। অবশ্যই কমজোর প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট করতে হল বাংলাকে। রঞ্জি ট্রফির মতো দীর্ঘদিন ধরে চলা টুর্নামেন্টে সব দলগুলোই ন🙈িজেদের ঘরের মাঠের অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সুবিধাই তুলতে ব্যর্থ হল বাংলা। এই ম্যাচটি অভিমুন্য ইশ্বরণের ১০০ তম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ ছিল। তাই ক্রিকেটে অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের তরফে তাঁকে সংবর্ধিত করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত ম্যাচটি আয়োজনই করতে পারল না তারা।
আপাতত বাংলার হয়ে আর শততম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলা হবে না অভিমন্যুর। ভারত এ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার এ দলের বিরুদ্ধে সফরে নাম রয়েছে তাঁর। সেখানেই নিজের শততম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলবে অভিমন্যু ইশ্বরণ। সাম্প্রতিককালে এমন ঘটনার কবে সাক্ষী থেকেছে বাংলার রঞ্জি দল তা মনে করা যাচ্ছে না। ২০১৩ সালে ইডেন গার্ডেনসে বাংলা বনাম বরোদার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচটি এক বল না খেলা হয়ে ড্র হয়ে যায়। পরবর্তীতে সৌরভ গাঙ্গুলি CAB সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ইডেন গার্ডেনস সংস্কার করা হয়। জল যাতে না দাঁড়াতে পারে তাই জন্য বালি এবং মাটির সঠিক অনুপাত ব্যবহার করে মাঠ তৈরি করা হয়। তবে কল্যাণীর মাঠটি শুধুমাত্র মাটি দ্বারা তৈরি হওয়ায় জল দাঁড়িয়ে যায় এবং শুকোতে সময় লাগে। যেই কারণে বাংলা🅘-বিহার ম্যাচটি খেলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ♐;আর এখানেই প্রশ্ন আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কেন কল্যাণীতে ম্যাচ করতে গেল CAB?