একে তো হোম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে কার্যত আত্ম🍷সমর্পণ করে হার। তার উপর হেরে উঠেই দিল্লি শিবিরে উড়ে এল আরও বড়সড় দুঃসংবাদ। বিশাখাপত্তনমে কেকেআর ম্যাচের পরেই আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ ধেয়ে আসে দিল্লি শিবিরে। ফলে একধার থেকে দিল্লির সব ক্রিকেটারের ঘাড়ে নেমে আসে শাস্তির খাড়া। পার পেলেন না ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারও।
ভাইজ্যাগে দিল্লি বনাম কেকেআর ম্যাচে নিয়ম ভাঙার জন্য মূল কালপ্রিট হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ক্যাপিটালসের ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্তকে। ফলে তাঁর শাস্তি হয় সব থেকে বেশি। সেই সঙ্গে প্রচ্ছন্ন সতর্ক বার্তাও উড়ে আসে পন্তের জন্য। ফের একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে নির্বাসিতও💧 হতে পারেন ঋষভ।
দিল্লি ক্যাপিটালস টানা ২টি ম্যাচে ওভার-রেট বজায় রাখতে পারেনি। অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ে তারা নিজেদের ২০ ওভারের বোলিং কোটা শেষ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ফের স্লো ওভার-রেটেয় দায়ে পড়ে ক্যাপিটালস। যেহেতু মরশুমে এই নিয়ে দ্ব🐠♕িতীয়বার নূন্যতম ওভার-রেট সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে পড়ে দিল্লি, তাই ক্যাপ্টেন-সহ দলের সব ক্রিকেটারের শাস্তি হয়।
আই♍পিএলের আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য ঋষভ পন্তকে ভারতীয় মুদ্রায় ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রথমবার এমন অপরꩲাধের জন্য দিল্লি দলনায়ক পন্তের জরিমানা হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, এবার জরিমানার অঙ্ক ডাবল হয়ে যায়।
প্রথমবার দিল্লি স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ার সময় শাস্তি হয়েছিল শুধু ক্যাপ্টেনের। দলের বাকি খেলোয়াড়রা পার পেয়ে গিয়েছিলেন। এবার প্রথম একাদশ ছ🔯াড়াও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও জরিমানা করে বিসিসিআই। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার-সহ দিল্লির বাকি সব ক্রিকেটারকে ৬ লক্ষ টাকা অথবা তাদের ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ অর্থ, যেটার পরিমাণ কম, সেই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়। অর্থাৎ, দলের বাকি খেলোয়াড়দের তুলন🤪ায় ক্যাপ্টেন পন্তের শাস্তি হয় চারগুণ।
উল্লেখ্য, ভাইজ্যাগেই চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়ে দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লি বাকি মরশুমে যদি ফের নির্ধারিত সময়ে নিজেদের বোলিং ꧙কোটা শেষ করতে না পারে, তবে আরও বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাদের। সেক্ষেত্রে ক্যাপ্টেন ঋষভ 🐷পন্তকে জরিমানা করা হবে ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে একটি ম্যাচ নির্বাসিত করা হবে তাঁকে।
তৃতীয়বার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে দিল্লির হয়ে সেই ম্যাচে যাঁরা মাঠে নামবেন, তাঁদের জরিমানার অঙ্কও বাড়বে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় মুদ্রায় ১২ লক্ষ টাকা অথবা ম্যাচ-ফির ৫০ শতাংশ অর্থ খোয়াতে হতে পারে ဣতাঁদের।