লোকেশ রাহুল দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। অভিমন্যু ইশ্বরন অস্ট্রেলিয়ায় উড়ে যাওয়ার আগে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। তাঁকেও রংচটা দেখায় অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টের উভয় ইনিংসেই। নির্ভরযোগ্য সাই সুদর্শনও বিন্দুমাত্র নজর কাড়তে পারেননি। ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় ব্যাট হাতে ꧒সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে রান করা কতটা চ্যালেঞ্জের, সেটা হাড়ে হাড়ে টেন পান ভারতের তারকা ব্যাটাররা।
তবে ব্যর্থ হওয়ার মিছিলে পা মেলাতে রাজি ছিলেন না ধ্রুব জুরেল। চূড়ান্ত ব্যতিক্রমী পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে ভারতের সিনিয়র দলের রিজার্ভ উইকেটকিপার বুঝিয়ে দিলেন, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে রং ছড়াতে প্রস্তুত তিনি। ভারতীয়-এ দলের হয়ে দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টের দুই ইনিংসেই যে রকম চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন জুরেল, তাঁকে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার🥂 হিসেবে মাঠে নামানোর কথাও ভাবতে পারে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে সিরিজে দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্টের দুই ইনিংসেই হাফ-সেঞ্চুরি করেন ধ্রুব জুরেল। প্রথম ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরন ০,ꦿ লোকেশ রাহুল ৪, সাই সুদর্শন ০, রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৪, দেবদূত পাডিক্কাল ২৬, নীতীশ রেড্ডি ১৬ রান করে আউট হন। ধ্রুব জুরেল ৮০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ১৮৬ বলের লড়াকু সেই ইনিংসে ধ্রুব ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
এবার দ্বিতীয় ইনিংসে অভিমন্যু ঈশ্বরন ১৭, লোকেশ রাহুল ১০, সাই সুদর্শন ৩, রুতুরাজ গায়কোয়াড় ১১, দেবদূত পাডিক্কাল ১ রান ♔করে আউট হন। এবার ফের হাফ-সেঞ্চুরি করেন ধ্রুব জুরেল। তিনি ১২২ বলে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৫টি চার।
মূলত জুরেলের ব্যাটে ভর করেই ভারতীয়-এ দল দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৯ রান তোলে। প্রথম ইনিংসের ৬২ রানের লিড বাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৬৮ রানের। অর্থাৎ, নিতান্ত আত্মসমর্পণ না করে ভারত লড়াই করা♊র রসদ সংগ্রহ করে নেয় দ্বিতীয় ইনিংসে।