জ্যাক ক্রলির আউটের ক্ষেত্রে কি ভুল করল ‘ডিসিশন র🅺িভিউ সিস্টেম’ (ডিআরএস)? বলের গতিপথ কি অনুমান করতে ভুল করল বল ট্র্যাকিং সিস্টেম? বিশাখাপত্তনম টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতের দুর্দান্ত বোলিং এবং ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ধসের মধ্যেই দুটি প্রশ্ন নিয়েই হইচই চলছে। ক্রলিকে যে ডিআরএসে আউট দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ 🥂করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ক্রলির এলবিডব্লুউয়ের ক্ষেত্রে বলের সম্ভাব্য গতিপথ অনুমান করতে নিশ্চিতভাবে ভুল করেছে বল ট্র্যাকিং সিস্টেম। এটা কোনওভাবে আউট হতে পারে না। যে ডিআরএস সিদ্ধান্তকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল যে ক্রলির আউটের ক্ষেত্রে ডিআরএস নিয়ে এত হইচই হচ্ছে? সোমবার বিশাখাপত্তনমে ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৪২ তম ওভারের শেষ বলে সেই ঘটনা ঘটে। কুলদীপ যাদবের যে বলটা করেন, তা পিচে পড়ে বেশ খানিকটা ঘুরে যায়। ক্রিজে আটকে থেকে যান ক্রলি। তাঁর ডান পায়ের প্যাডে বলটা আছড়ে পড়ে। জোরালো আবেদন করেন ভারতীয়রা।꧑ তবে আউট দেননি অনফিল্ড আম্পায়ার মারে এরেসমাস। কিছুক্ষণ🅘 আলোচনার পরে একেবারে শেষমুহূর্তে ডিআরএস নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তিনি ডিআরএস নিলেও আদৌও ক্রলি আউট হবেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দ ছিল🌺। কারণ প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল যে বলটা লেগ স্টাম্পে লাগবে না। আর লেগ স্টাম্পে লাগলেও সেটা স্রেফ স্টাম্প ছুঁয়ে বেরিয়ে যাবে। আর যেহেতু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি, তাই ক্রলি রক্ষা পেয়ে যেতেন। তারইমধ্যে রিভিউয়ে দেখা যায় যে বলটা লেগস্টাম্প লাইনে পড়ছে। আর লেগস্টাম্পে বলটা আছড়🐲ে পড়ছে। ফলে আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
যে সিদ্ধান্ত দেখে হতবাক হয়ে যান ক্রলি। তবে তাঁকে ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয়। তারইমধ্যে সেই আউটের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেಞ ক্যামেরার যে টেকনিকাল বিষয় জড়িয়ে আছে, তা ব্যাখ্যা করে দেন ধারাভাষ্যকার ভোগলে। তিনি বলেন, 'ক্রলিকে যে বলটা করেছিলেন কুলদীপ, তা মাত্র দু'ডিগ্রি ঘুরেছিল। প্রথম যে রিপ্লে দেখা গিয়েছে, তাতে উইকেট ক্যামেরার নিরিখে উইকেটের সামান্য বাঁ-দিকে ছিল (বলটা)। যা থেকে মনে হচ্ছিল যে বলটা হয়ত লেগস্টাম্পের পাস দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ম্যাচের টার্নিং𓄧 পয়েন্ট।'
আরও পড়ুন: IND vs ENG: স্লিপে দুর্দান্ত রিফ্লেক্স ক্যাচ ♔রোহিতের! মাইক্রো সেকেন্ডের মধ্যে ধরলেন বল- ভিডিয়ো
আর ক্রলির উইকেট যে নিঃসন্দেহে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ সেইসময় ইংল্যান্ডের হাতেই ম্যাচের রাশ ছিল। যিনি ৭৩ রানে খেলছিলেন। আর ৪১.♛৫ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল চার উইকেটে। তিনিই ইংল্যান্ডকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ক্রলি আউট হতেই পরপর উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। তার জেরে ম্যাচে কামব্যাক করতে পারে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে ক্রলির আউট নিয়ে বিতর্কের আগুন আরও তীব্র হয়েছে।
আরও পড়ুন: IND vs ENG 2nd Test Day 4 Live: ফোকসকে ফেরালেন বুমরাহ, ৮ উইকেট হারা🀅ল ইংল্যান্ড