ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মায়াঙ্ক যাদব হলেন আইপিএল ২০২৪-এর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই ফাস্ট বোলার গত 𒁃দুই ম্যাচে মোট ৬ উইকেট নিয়েছেন। দুই ম্যাচেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। বড় কথা হল তিনি এই মরশুমের দ্রুততম বলটিও করেছিলেন। এই বলটির গতি ছিল ঘণ্টায় 156.7 কিলোমিটার। মায়াঙ্ক ২ ম্যাচে ৩ বার ১৫৫ কিমির গতিতে বল করেছিলেন।
কী খান মায়াঙ্ক যাদব?
মায়াঙ্কের মা মমতা আজ তকের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বলেছিলেন, ‘মায়াঙ্ক সবেমাত্র নিরামিষ খাবার খাওয়া শুরু করেছেন। আগে, সে আমিষ খাবার খেত। গত ২ বছর ধরে সে নিরামিষ খাবার খাচ্ছে। সে আমাদের যা কিছু বানাতে বলছে, তার ডায়েট চার্টের ඣভিত্তিতে আমরা তার জন্য তৈরি করি। সে বিশেষ কিছু খেতেন না। সে শুধু ডাল, রুটি, ভাত, দুধ, সবজি ইত্যাদি খায়।’
কেন নিরামিষ খান মায়াঙ্ক যাদব?
যদিও মায়াঙ্কের মা পুরোপুরি নিশ্চিত নন কেন ক্রিকে💟টার আমিষ খাবার ছেড়ে দিয়েছেন, তিনি প্রকাশ করেছেন যে দুটি কারণ রয়েছে যা তিনি জানেন। প্রথম কারণটি ছিল ভগবান কৃষ্ণের প্রতি তার বিশ্বাস, এবং দ্বিতীয়টি যে তিনি অনুভব করেছিলেন যে আমিষ খাবার তার শরীরের জন্য আর উপযুক্ত নয়।
মায়াঙ্ꦯকের ꧒মা আরও বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন যে নন-ভেজ খাবার তার শরীরে খুব একটা মানানসই নয়। তিনি আমাদের দুটি কারণের কথা বলেছিলেন। প্রথমত তিনি ভগবান কৃষ্ণে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন, এটিও একটি কারণ হতে পারে। আমরা তাকে প্রকাশ করতে বাধ্য করিনি। কেন সে আমিষ খাবার ছেড়ে দিয়েছিল। সে বলেছিল যে আমি যা করছি তা তার খেলা এবং তার শরীরের জন্য ভালো ছিল।’ এই সময় মায়াঙ্কের মা আরও জানিয়েছেন যে তিনি তার ছেলেকে শীঘ্রই ভারতীয় দলের জার্সি পরতে এবং তার আন্তর্জাতিক অভিষেক দেখতে চান।
মায়াঙ্ক যাদবকে নিয়ে প্রাক্তনীরা কী বলছেন?
🌃আইপিএলের প্রাথমিক পর্যায়ে মায়াঙ্কের পারফরম্যান্স দেখে অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার তাকে দ্রুত ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলেছে। কেউ কেউ তো আবার জুনে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এ ভারতের হয়ে খেলার জন্য তাঁকে সমর্থন করেছেন।
কিন্তু সাধারণ ভারতীয়দের মতো স্বপ্ন ও সমস্যা নিয়ে বড় হওয়া মায়াঙ্কের যাত্রা সহজ ছিল না। ১ꦿ৫ বছরের একটি রোগা ছেলে থেকে, তিনি ২১ বছর বয়সে একজন বিপজ্জনক ফাস্ট বোলার হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দ্রুতগতির আর আশ্চর্য♑জনক ফিটনেসের রহস্য কী।
আরও পড়ুন… ISL 2023-24: ৯ জনের কেরালাকে হ🙈ারিয়ে ফের প্লে-অফের দরꦏজায় কড়া নাড়তে শুরু করল ইস্টবেঙ্গল
মায়াঙ্কের ফিটনেসের রহস্যটা কী?
দিল্লি সনেট ক্লাবের কোচ দিব্যেন্দ্র শর্মা এএনআইকে বলেছেন যে ১৫ বছর বয়সে, তার দুর্বল শরীর থাকা সত্ত্বেও, তিনি তার বয়সের জন্য গড়ের চেয়ে দ্রুত বল করতে পারতেন। সে সবসময় কঠোর পরিশ্রম করেছে। মায়াঙ্ককে রোগা দেখতে মনে হলেও, সে কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। পরে সঠিক পুষ্টি এবং ফিটনেস অভ্যাসের কারণে সে আরও শক্তিশ🃏ালী হয়ে ওঠে। পশ্চিম দিল্লির পঞ্জাবি বাগ এলাকায় বসবাসকারী যাদব পরিবারের জন্য রাতারাতি সবকিছু বদলে যায়। সারা দেশের প্রিয় ক্রিকেটার হয়ে উঠেছেন মায়াঙ্ক। দিব্যেন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন যে মায়াঙ্ক একজন খাঁটি নিরামিষ এবং ভগবান কৃষ্ণের একজন কট্টর ভক্ত।