BCCI-এর প্রাক্তন চিফ সিলেক্টর তথা ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য সন্দীপ পাতিল বড় মন্তব্য করলেন গ্রেগ চ্যাপেলকে নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন, চ্যাপেল কো🔜চ হওয়ার পর থেকে দলে অস্ট্রেলিয়ান কালচার চালু করতে চেয়েছিলেন। যেই কারণে তাঁকে তাড়াতাড়ি দল ছেড়ে চলে যেতে হয়। গ্রেগ চ্যাপেল ভারতীয় দলে অস্ট্রেলিয়ান সংস্কৃতি চালু করতে চেয়েছিলেন এটি পাতিল তাঁর আত্মজীবনী ‘বিয়ন্ড বাউন্ডারি’-তে উল্লেখ করেছেন। তিনি তাঁর বইতে জন রাইটের পর থেকে ভারতের ক্রিকেট কোচদের তুলনা করেছেন। পাতিল তাঁর বইতে জন রাইটের প্রশংসা করেছেন।
সন্দীপ পাতিল তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় জন হল ভারতীয় দলের জন্য পারফেক্ট কোচ। ওঁ খুব নিচু স্বরে কথা বলতো, সকলের সঙ্গে ব্যবহার ভালো করতেন। সর্বদা নিজেকে ধরে রাখতে পছন্দ করতেন। তিনি সৌরভ গাঙ্গুলির ছায়ায় থাকতে পেরে খুশি অনুভব করতেন। উনি মিডিয়ার থেকেও দূরত্ব বজায় রাখতেন। যদি চ্যাপেলের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হয়, তাহলে জন খুব কম সময়ই খবরের শির✅োনামে ছিলেন।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘গ্রেগ অস্ট্রেলিয়ান কালচার চালু করতে চেয়েছিলেন দলের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়ার মতো করে ক্রিকেট খেলা, অস্ট্রেলিয়ার মতো করে ভাবা চালু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এটার জন্য সময় পাননি। সেখান থেকেই মনে হয় তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল তৈরি হয়ে𒐪ছিল। এবং তিনি বেশ কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেও ছিলেন।’
পাতিল উল্লেখ করেছেন চ্যাপেল সবকিছু রাতারাতি পরিবর্তন করার পক্ষে ছিলেন। আর এর ঠিক বিপরীত ছিলেন রাইট, তিনি সময় নেওয়ার পক্ষে ছিলেন।তিনি লিখেছেন, ‘গ্রেগ খুব দৃঢ় স্বভাবের একজন মানুষ, খুব আক্রমণাত্মক। যখনই তাঁকে জগমোহন ডালমিয়া ফ্রি হ্যান্ড দেন, তখনই তিনি সব কিছু রাতারাতি পরিবর্তন করার কথা ভাবতে থাকেন। অন্যদিকে জন রাইট সময় নিতে চেয়েছিলেন, সিস্টেমটাকে বুঝতে চেয়েছিলেন। গ্রেগ পুরো সিস্টেমটাকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, ভাবনাগুলোর পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছিলেন এবং নির্বাচন পদ্ধতির বদল ঘটাতে চেয়েছিলেন।’ পাতিল লিখেছেন, ‘তিনি ভারতীয় দলে ফ্লেক্সিবিলিটি আনতে চেয়েছিলেন, এবং তিনি রাহুল দ্রাবিড়ের জন্য জিনিসগুলি নষ্ট করেছিলেন, যিনি গাঙ্গুলির কাছ থেকে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন। ইরফান পাঠানকে উপরে ব্যাট করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সিনিয়ররা ব্যাটিং অর্ডার বদলাতে পছন্দ করেন না, তা তিনি সচিন তেন্ডুলকর হোক, দ্রাবিড় বা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ হোক।’