২০২৪ আইপিএল অভিযানের শুরুটা দুরন্ত করেও শেষটা ভালো করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস দল। কলকাতায় এসে ইডেন গার্ডেন্সে নাইটদের বিরুদ্ধে শতরান করে ম্যাচ জিতিয়ে গেছিলেন জোস বাটলার, পরপর জিতেই চলেছিল সঞ্জ স্যামসনের দল। কিন্তু হঠাৎই অধিনায়ক ফর্ম হারাতে এবং ওপেনিং জুটি ক্লিক না করাতেই সাফল্য পাওয়া হল না রয়্যালসদের। কোয়ালিফায়ার টু-তে সানরাইজার্সের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় রাজস্থান। এক্ষেত্রে দলের বিদেশী ব্যাটারদের ব্যর্থতা অবশ্যই অন্যতম কারণ এবারের আইপিএলে রাজস্থানের ট্রফি না জেতার। অবশ্য যশস্বী জয়সওয়াল বা রবিচন্দ্রন অশ্বিনরাও নিজের নামের প্রত♓ি সুবিচার করে দলকে ভরসা দিতে পারেননি। একঝলকে সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে রাজস্থান দলের ব্যর্থতার কারণ।
আরও পড়ুন-আদালতে টিকল না মারাদোনার পরিবারের যুক্তি... আগামী সপ্তাহেই নিলামে বিশ্বকাপ♓ের গোল্ডেন বল
আইপিএলের গ্রুপ স্টেজের শেষ দিকে পরপর চারটে ম্যাচ হারতেই ম💧নোবল ভেঙে পড়ে রয়্যালসদের। সেই সঙ্গে সঙ্গেই লিগের প্রথম স্থান হাতছাড়া হয়। এরপর টানা হারায় কোয়ালিফায়ার ওয়ানেও খেলার সুযোগ পায়নি তাঁরা। ফলে প্লে অফের তিনটি ম্যাচই তাঁদের মাস্ট উইন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে এলিমিনেটর জিতলেও কোয়ালিফায়ার টুতে হেরে যায় রাজস্থান।
রিয়ান পরাগ মিডল অর্ডারে দুরন্ত পারফরমেন্স করলেও দলের বিদেশী ব্যাটাররা মিডল অর্ডারে তেমন নির্ভরতা দিতে পারে♑ননি। এবারে ৫৭৩ রান করে রাজস্থানের সর্বোচ্চ রানের মালিক হন রিয়ান, সেখানে পাওয়েল, হেতমায়েররা দলকে গুরুত্বপূর্ণ সময়𒊎 জেতাতে পারেননি। সানরাইজার্সের বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন, ফলও যা হওয়ার তাই হয়েছে।
আরও ♊পড়ুন-T20 World Cup-সব ঠিক ঠওাক চললে টি২০ বিশ্বকাপের Super Eight-এ ভারত খেলবে কাদের সঙ্গে?
আইপিএলেরꦍ প্লে অফের আগে দলের অন্যতম ভরসা জোস বাটলারের দেশে ফেরায় কম্বিনেশন ভেঙে যায়। পরিবর্তে টম কোহলার আসলেও ওপেনিংয়ে তিনি নজর কাড়তে ব্যর্থ হন। কোয়ালিফায়ার টুতে যখন যশস্বী জয়সওয়াল একাই লড়ে যাচ্ছিলেন, তখন সঙ্গ দিতে পারেনি ইংরেজ ব্যাটার টম।
অধিনায়ক সঞ্জ স্যামসন আইপিএলের শুরুর দিকে যেমন অনবদ্য ছন্দে ছিলেন, পরের দিকে কিছুটা ফর্ম হারান। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জেতাতে এবারে হাত ছিল সঞ্জুর, কিন্তু শেষের দিকে তাঁর ফর্মে ঘাটতি হতেইꦡ বাকি ব্যাট𓆉াররা সেই মতো সাপোর্ট দিতে পারেনি, বিশেষ করে বিদেশী ব্যাটাররা।
আইপিএলে রাজস্থান দলের পেস বোলিং ইউনিট ট্রেন্ট বোল্ট, সন্দীপ শর্মা, আবেশ খানরা খুব খারাপ খেলেননি। যুজবেন্দ্র চাহাল তো বল হাতে ১৮ উইকেটও নিয়েছিলেন। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন চেনা ছন্দে না থাকায়, পার্ট টাইম বোলারের অভাব টের পায় রয়্যালসরা। ট্রেন্ট বোল্ট ভালো শুরু করে দিলেও মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে রাখার মতো বোলার ছিল না তাঁদের। আগামী মরশুমে বোল্ট, চাহাল, সঞ্জুকে রিটেন করা হবে,ধরে নেওয়া যায়। যদি ক্রিক🎉েটার রিটেনের পুরোনো নিয়ম লাগু থাকে, সেক্ষেত্রে আরটিএম দিয়ে বাটলার না পরাগ, কাকে নেবে রাজস্থান সেদিকে নজর থাকবে।