রিটেনশন মানেই টিম ম্যানেজমেন্টের টেনশন! কাকে রাখা হবে, কাকে ছেড়ে দেওয়া হবে, সেইসব চিন্তাভাবনা তো থাকেই। আরও একটা যে বিষয় থাকে, সেটা হল যে কাকে কত টাকা দিয়ে রিটেন করা হবে? প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই একটা আশা থাকে। কিন্তু রিটেনশনের নিয়ম অনুযায়ী তো যত খুশি টাকা খরচ করা যায় না। এবারও যেমন একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ফলে সকলেই যে নিজের 💟মনের মতো টাকা পাবেন, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কোনও খেলোয়াড় নিজের মনের মতো টাকা নাও পেতে পারেন। নিন্দুকদের বক্তব্য, ইগোর ব্যাপারও থাকে কোনও কোনও খেলোয়াড়ের। সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় নিজের মূল্য যতটা মনে করছেন, সেটার থেকে তিনি কম পেলে বা সতীর্থ কেউ বেশি টাকা পেলেন ‘ইগোর লড়াই’-র একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।
ট্র্যাপিজের খেলা খেলল IPL-র দলগুলি
আর এবারের আইপিএলে কয়েকটি দলের রিটেনশন নীতিতে সেই বিষয়টা ধরা পড়ল। একাধিক দলের স্ট্র্যাট𓆏েজি জেখে মনে হল যে টাকা নিয়ে যাতে কোনওভাবেই 'ইগোর লড়াই' না হয়, সেজন্য টি-টোয়েন্টি রিটেনশনের ক্ষেত্রে টেস্টের মতো ‘ধরে খেলার’ পথে হেঁটেছে। খেলেছে ট্র্যাপিজের খেলা।
চেন্নাই সুপার কিং♔স যেমন রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে সমপরিমাণ টাকা (১৮ কোটি টাকা) দিয়ে রিটেন করেছে। দু'জনের মধ্যে কোনও ‘ইগোর লড়াই’ যে আছে, সেটা নিশ্চিত নয়। কিন্তু সেটা থাকলেও অস্বাভাবিক হবে না। কারণ একজন ক্যাপ্টেন। আর একজন মহেন্দ্র সিং ধোনির পরে চেন্নাইয়ের সবথেকে সিনিয়র খেলোয়াড়।
সেই পরিস্থিতিতে একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। ক্যাপ্টেনের মনে হতেই পারে যে তাঁকে কেন বেশি টাকা দেওয়া হচ্ছে না (শ্রেয়স আইয়ারের ক্ষেত্রে বিষয়টা এমনই ছিল বলে একাধিক মহলে জল্পনা চলছে, আর সেই কারণে তিনি রি🔜টেনশন তালিকায় নেই)? আবার অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরও মনে হতে পারে যে কেন তাঁকে বেশি টাকা দিল না দল? সেরকম অবস্থা অবশ্য তৈরি হওয়ার সম্ভাജবনা থাকল না। কারণ রুতুরাজ এবং জাদেজাকে ১৮ কোটি টাকা দিল চেন্নাই।
ডার্বির লড়াই ঘুচল রিটেনশনের স্ট্র্যাটেজিতে
মা✤ঠে চেন্নাইয়ের সঙ্গে ডার্বি চললেও কার্যত সেই পথেই হেঁটেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। চেন্নাইয়ের থেকে তো মুম্বইয়ের কাজটা অনেক বেশি কঠিন ছিল। কারণ চার মহারথীকে (রোহিত শর্মা, জ🐭সপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া এবং সূর্যকুমার যাদব) রিটেন করেছে মুম্বই।
সবথেকে বেশি ১৮ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে বুমরাহকে। মুম্বইয়ের অধিনায়ক ও ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন সূর্যকে দেওয়া হয়েছে ১৬.৩৫ কোটি টাকা। তাঁদের থেকে পাঁচ লাখ টাকা কম পাচ্ছেন রোহিত। যদিও মুম্বইয়ের হেড কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে দাবি করেছেন যে রিটেনশনের বিষয়টা নিয়ে মূলত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চার তারকাই। যদিও ম্যানেজমেন্টে🍷র সর্বোচ্চ স্তর থেকে সবুজ সংকেত না পেলে কখনওই সেটা যে বাস্তবায়িত হতে পারে না, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।