শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় সিনিয়র দলের হয়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতি꧙ক ম্যাচ খেলেছেন বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ। এর পর ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। তবে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের যে দল ভারতীয় বোর্ড ঘোষণা করেছে সেই দলে জায়গা হয়েছে তাঁর। চলতি আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্স করার পরেই তাকে দলে সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকেরা। ভারতীয় দলের মূল স্কোয়াডে যদিও জায়গা হয়নি তাঁর। তিনি জায়গা পেয়েছেন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে। তার পরেই জাতীয় দলে ফেরার অনুভূতি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলার যে অনুভূতি ছিল, সেটা মিস করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া মরশুমে বড় পরিবতর্ন আনতে চলেছে 𒐪BCCI, সিএকে নাইডু-তে উঠে যাচ্ছে টস, রঞ্জি ট্রফি হবে দুই পর্বে
দিল্লি ক্যাপিꦓটালস দলের এক পডকাস্টে খলিল বলেছেন, ‘যে ভাবে শেষ কয়েকটা মাস কেটেছে, যে ভাবে আইপিএলটা শুরু হল, যে ভাবে আমি পারফরম্যান্স করছি, তাতে আমার মন আমাকে বলছিল যে, আমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করে রয়েছে। এই মরশুমে য♐ত আইপিএল ম্যাচ খেলেছি, তত আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমি এটা অনুভব করেছি যে, আমি ভালো বল করছি। আমি ধীরে ধীরে আগের জায়গায় একটা একটা করে পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি বলে আমার মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যখন আমার নামটা এল (টি-২০ বিশ্বকাপের দলে), তখন আমি খুব বেশি খুশি হই। কারণ আমার কেরিয়ারের জন্য এটা একটা দারুণ খবর।’
আরও পড়ুন: RCB ম্যাচে পন্ত নেღই, DC-কে নেতৃত্ব দেবেন কে? তারকা অলরাউন্ডারের নাম ঘোষণা করলেন পন্টিং
খালিল 𓆏আহমেদ ভারতের হয়ে ১১ টি ওয়ানডে এবং ১৪ টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন যথাক্রমে ১৫টি এবং ১৩টি উইকেট। ২০১৯ সালের নভেম্বরে শেষ বার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। সেবার নাগপুরে তিনি খেলেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টি-২০ ম্যাচে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে খালিল বলেছেন, ‘২০১৯ সালে শেষ জাতীয় দলে খেলেছি। তা দীর্ঘ সময় হয়ে গেল। প্রতিদিন আমার মাথায় এই ভাবনাটা খেলত। কবে জাতীয় দলে ফিরব সেটা ভাবতাম। জাতীয় দল, দেশের হয়ে খেলার যে অনু⛎ভূতি আমি সেটা খুব মিস করছিলাম। ভারতীয় দলকে যত বার আমি খেলতে দেখেছি তত বার আমার মাথায় এই চিন্তা এসেছে ওই জায়গায় আমি থাকলে কি করতাম। পেসার হিসেবে আমার কাছে খুব কঠিন সময় ছিল। প্রতিটা দিন ছিল যুদ্ধের মতন। আমার মাথায় সব সময়ে এমন চিন্তা আসত। গত বছর আমি মানসিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। কারণ আমার গোটা জীবনটাই ক্রিকেটের উপর নির্ভরশীল। আর অন্য কিছু আমাকে সেইভাবে বিরক্ত করত না।’