শনিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ দল। এই ম্য়াচে ২১ রানে হেরে যায় বাংলাদেশের মহিলা দল। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১১৮ রান তোলে ইংল্যান্ড।🎀 জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ৯৭ রানের বেশি করতে পারেনি নিগার সুলতানারা।
ইংল্যান্ডের পক্ষে লিনসে স্মিথ ও চার্লি ২টি করে উইকেট পান-
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় ইংল্যান্ড। শুরুটাও দারুণ করে দলটি। ৪৮ রানের ওপেনি🃏ং জুটি উপহার দেন দুই ওপেনার মাইয়া বাউচার ও ড্যানি ওয়াট-হজ। বাউচারকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান। ১৮ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করেন বাউচার। এরপর জ্বলে ওঠেন দলের বাকি বোলাররাও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিলে ইংলিশদের রানের গতিতে লাগাম টানে বাংলাদেশ দল। স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতে ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টকে (২) ফেরান ফাহিমা খাতুন। খুব বেশি আগাতে দেননি ইংলিশ অধিনায়ক হিদার নাইটকে। ব্যক্তিগত ৬ রানে তাঁকে বোল্ড করে দেন রিতু মনি।
আরও পড়ুন… IPL 2025-এ কি MI-এর নেতৃত্ব সামলাবেন সূর্যকুমার যﷺাদব? রোহিতের প্রসঙ্গ টেনে কী ইঙ্গিত দিলেন ‘স্কাই’?
তবে অপর প্রান্তে আগলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক ওপেনার ওয়াট-হজ। তবে ব্যক্তিগত ৪১ রানে তাকে ফেরান নাহিদা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অ্যালিস ক্যাপসি ১৭ বলে𝕴 খেললেও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। তাকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন ফাহিমা। আর ড্যানিয়েল গিবসনকে নাহিদা ও চার্লিকে ডিনকে রিতু দ্রুত ফেরালে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। অ্যামি জোন্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১৬ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ দিকে ২ বলে ১টি ছক্কায় ৮ রান তুলে অপরাজিত থাকেন সোফি একলেস্টন। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা, ফাহিম💖া ও রিতু।
কেমন ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস-
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। দিলারা আক্তারের (৬) আউটের সঙ্গে সঙ্গে ১৬ রানেই ভাঙে দলের ওপেনিং জুটি। স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ হতে না হতেই ফিরে যা♏ন আরেক ওপেনার সাথি রানিও (৭)❀। দলের রান যখন ১৭ তখই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। এর পর অধিনায়ক নিগারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সোবহানা মোস্তারি। ৩৫ রানের জুটিও গড়েন এ দুই ব্যাটার। কিন্তু নিগার রানআউট হলে ভেঙে যায় এই জুটি। ২০ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৫ রান করেন ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা।