যাঁরা টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন, প্রথম একাদশে জায়গা করে নেওয়ার দাবি জানানোর সুযোগ হাতছাড়া করলেন না। যাঁরা টেস্ট দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন, উপেক্ষার জবাব দেওয়✃ার সুযোগ নষ্ট করলেন না। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ২ দিনের অনুশীলন ম্যাচে ভারতীয়-এ দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে যে রকম পারস্পরিক লড়াই চলল, তা নিশ্চিতভাবেই খুশি করবে সমর্থকদের।
ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ২টি টেস্টের জন্য ১৬ জনের যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন জাতীয় নির্বাচকরা, তাতে উইকেটকিপার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন কেএস ভরত ও ধ্রব জুরেল। যদিও লোকেশ রাহুলও স্কোয়াডে রয়েছেন উইকেটকিপার হিসেবেই। টেস্ট দলে কিপার হিসেবে লোকে༒শ রাহুলকে দেখতে চাইছে না বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ।
টিম ম্যানেজমেন্ট যদি বিশেষজ্ঞ কিপার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ভরত অথবা জুরেলের মধ্য থেকে কোনও একজন সুযোগ পাবেন। ভারতীয়-এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ম্যাচগুলিতে যাঁর পারফর্ম্যান্স ভালো হবে, তিনি যে দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। উল্লে𝕴খযোগ্য বিষয় হল, আমদাবাদে ২ দিনের ট্যুর ম্যাচে দাপুটে 🍨হাফ-সেঞ্চুরি করেন ভরত-জুরেল দু'জনেই।
কেএস ভরত ৬৯ বলে ৬৪ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। জুলের কার্যত টি-২০ ক্রিকেটের ঢংয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছকꦚ্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৫০ রান করে মাঠ ছাড়েন।
ভরত ও জুরেলের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ভারতীয়-এ দলের হয়ে দুর্দান্ত শতরান করেন রজত পতিদার। তিনি ১৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪১ বলে ১১১ রান করে আউট হন। যদিও নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন সরফরাজ খান। ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্যন্ত ধারাবাহিক হওয়া সত্ত্বেও সরফরাজ জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন না বলে সরব বিশেষজ্ঞরা। মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটার এদিন ভারতীয়-এ দলের হয়ে ৯৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ১১০ বলের দাপুটে ইনিংসে সরফরাজ ১১টি🐬 চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
এছাড🌱়া অভিমন্যু ঈশ্বরন ৩২, প্রদোষ রঞ্জন পাল ২১, মানব সুতার ২৬, পুলকিত নারাং অপরাজিত ২৫, আকাশ দীপ ৯ ও তুষার দেশপান্ডে অপরাজিত ১৮ রান করেন। ভারত ৯১ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে 🌜৪৬২ রান তোলে। অর্থাৎ, ওভার প্রতি ৫.০৭ রান সংগ্রহ করে ভারতীয়-এ দল।
তার আগে শুরুতে ব্যাট করে ইংল্যান্ড লায়🐼ন্স ৫১.১ ওভারে ২৩৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। আমদাবাদে ২ দিনের অনুশীলন ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়।