যে বিধ্বংসী ব্যাটিং অর্ডারের হাত ধরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২০২৪ আইপিএলে দাপিয়ে বেড়িয়েছে, সেই ব্যাটিং অর্ডারই ফাইনালে ডোবাল তাদের। প্লে-অফের দু'টি ম্যাচেই হায়দরাবাদের ব্যাটিংকে একেবারে সাধারণ স্তরে নামিয়ে আনলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলাররা। কোয়ালিফায়ার ওয়ানের পর আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচেও হায়দরাবাদের ব্যাটাদের একেবারে কাঁদিয়ে ছাড়লেন মিচেল স্টার্ক, আন্দ্রে রাসেলরা।
রবিবার কেকেআর বোলারদের দাপটে ১৮.৩ ওভারে সানরাইজার্স মাত্র ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। এটি আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের নজির। এই রান তাড়া করতে নেমে সহজেই ৫৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর। ম্য়াচের পর এসআরএইচ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স 💧স্বীকার করে নেন, তাঁরা একেবারেই লড়াই থেকে 🐼হারিয়ে গিয়েছিল। কেকেআর তাদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে।
খেলা থেকেই হারিয়ে গিয়েছিলাম
লজ্জাজনক হারের পর কামিন্স সো🍬জাসাপ্টা ভাষায় বলেন, ‘ওরা (কেকেআর) দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। আমরা আউটপ্লে হয়ে গিয়েছি। ওরা আমাদের কোনও সুযোগ দেয়নি। তবে এটি বেশ কঠিন উইকেট ছিল। এবং ২০০-এর রান হওয়ার মতো বেশি উইকেট ছিল বলে মনে হয় না। ১৬০ রান করতে পারলে, আমরা একটা সুযোগ পেতাম।’
হারের পরেও দলের পিঠ চাপড়ালেন কামিন্স
ফাইনালে বাজে ভাবে হারলেও দলের পিঠ চাপড়াতে ভুললেন না কামিন্স। তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভালো মরশুম ছিল। এত জনের সঙ্গে এর আগে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু হায়দরাবাদের সঙ্গে কাজ কর꧑াটা দারুণ বিষয়। সত্যিই খুꦉব ভালো স্কোয়াড ছিল। এবং স্টাফেরাও অসাধারণ ছিলেন। দারুণ সময় উপভোগ করেছি। আমরা ভারতে এর আগে অনেক ম্যাচ খেলেছি, তবে সে সবই নীলের সমুদ্রের মাঝে। এবার অনন্ত আমার দলের সমর্থনে গলা ফাটাতে দেখলাম ভক্তদের।’
আরও পড়ুন: গম্ভীরের মগজ✱াস্ত্র, প্লে-অফে বিধ্বংসী স্টার্ক, টিম গেম- যে ৫ কারণে ১০ বছর পর ফের 🐼খেতাব জয় KKR-এর
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
রবিবার টস জিতে হায়দরাবাদ প্🐭রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ১১৩ রানে তারা অলআউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তিনি ১৯ বলে ২৪ রান করেছেন। এছাড়া ২৩ বলে ২০ করেন এডেন মার্করাম, ১৭ বলে ১৬ করেন এনরিখ ক্লাসেন, ১০ বলে ১৩ করেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। বাকিরা এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেয়েছেন। পাওয়ার প্লে-তেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল হায়দরাবাদ। সেখানেই তাদের কোমর ভেঙে যায়। তার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। পাওয়ার প্লে-তে তিন উইকেটের মধ্যে ২ উইকেট নিয়েছেন কামিন্স। ১ উইকেট নেন বৈভব আরোরা। এদিন কেকেআর-এর হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার আন্দ্রে রাসেল। ২.৩ ওভার বল করে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া হর্ষিত রানা নিয়েছেন ২ উইকেট।