কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে ২৪.৭৫ কোটিতে কিনেছে, সেটা প্লে-অফে এসে হাড়েহাড়ে টের পাইয়ে দিচ্ছেন মিচেল স্টার্ক। রবিবার ২০২৪ আইপিএলের ফাইনালেও আগুনে মেজাজে পাওয়া গেল অজি তারকা পেসারকে। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বোল্ড করলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিধ্বংসী ওপেনার অভিষেক শর্মাকে। কোয়ালিফায়ার ওয়ানেও প্রথম ওভারে তিনি ফিরিয়েছিলেন স্বদেশীয় ট্র্যাভিস হেডকে। আর এবার স্টার্কের বলে কেঁপে গেল অভিষেকের স্টাম্প। নিঃসন্দেহে ‘বিগ ম্যাচ প্লেয়ার’ স্টার্ক। এরপর পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে ফেরান রাহুল ত্রিপাঠিকেও। ꦑতিনিও কিন্তু কম মারকুটে প্লেয়ার নন।
কীভাবে অভিষেককে আউট করলেন স্টার্ক?
রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএলের ফাইনালে স্টার্ক বল হাতে দুরন্ত শুরু করেন। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে হায়দরাবাদ। ইনিংসের প্রথম বলেই সুইং পেয়ে যান স্টার্ক। প্রথম তিন বলে কোনও রান হয়নি। অজি পেসারকে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল অভিষেকের। চতুর্থ বলে ২ রান নিয়ে খাতা খোলেন অভিষেক। কিন্তু পঞ্চম বলটি বুঝতেই পারেননি অভিষেক। লেন্থ বলটি আউটসুইং হলে, একেবারেই ধরতে পারেননি অভিষেক। স্টাম্প উড়ে যায়। দুরন্ত বল। আইপিএলের অন্যতম সেরা বল বলা হচ্ছে এটিকে। প্রথম ওভারে অভিষেক ফেরায়, বড় অক্সিজেন পেয়ে যায় নাইট রাইড𒁃ার্স।
আরও পড়ুন: জার্সিটা ভালো, টিমটা না- এভাবে হ্যাটা করꦐেছিল লোকজন, স্মৃতিচারণ শাহরুখের- ভিডিয়ো
পঞ্চম ওভারে ফেরান রাহুল ত্রিপাঠিকে
মিচেল স্টার্ক পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে ফেরালেন রাহুল ত্রিপাঠিকেও। অভিষেকের পরিবর্তে তিনে ব্যাট করতে এসেছিলেন রাহুল। ৪.২ ওভারে স্টার্কের বল পুল করতে চেয়েছিলেন রাহুল। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ ওঠে। ভালো ক্যাচ ধরেন রমনদীপ সিং। ১৩ বলে ৯ করে সাজঘরে ফেরেন রাহুল ত্🎀রিপাঠি। স্টার্ক পাওয়ার প্লে-তে তিন ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। আর এতেই চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদের দল।
আরও পড়ুন: শাহরু♑খের উপরেই কি নির্ভর করছে ভারতীয় দলে গম্ভীরের কোচ হওয়ার ভাগ্য?
পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়েছেন প্যাট কামিন্সরা
পাওয়ার প্লে-তে স্টার্কের ২ উইকেট ছাড়াও, একটি উইকেট নিয়েছেন বৈভব আরোরা। বৈভব গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হায়দরাবাদের আর ෴এক বিধ্বংসী ওপেনার ট্র্যাভিস হেডকে। বৈভব অরোরা লেগ স্টাম্পে একটি লেন্থ বল করেছিলেন। তাতে খোঁচা মেরে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হেড। সব মিলিয়ে পাওয়ার প্লে-তেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৬ ওভারে হায়দরাবাদ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান করে। যার নিট ফল, পাওয়ার প্লে-র শেষে ম্যাচের রাশ চলে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হাতে।