২০২৪ আইপিএলে শ্রেয়স আইয়ারের দক্ষ নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স ফাইনালে উঠেছে। দলকে ছন্দে বাঁধতে মেন্টর গৌতম গম্ভীর যেমন বড় ভূমিকা নিয়েছেন, তেমনই শ্রেয়স আইয়ারও কিন্তু মাঠের ভিতর সুনিপুণ হাতে দলকে পরিচালনা করেছেন। শুধু তাই নয়, ব্যাট হাতেও তিনি নজর কেড়েছেন। বিশেষ করে কোয়ালিফায়ার ওয়ানের ম্যাচে দলের প্রয়োজনে অপরাজিত ৫৮ রান (২৪ বলে) করেছেন। এবং কেকেআর-কে ফাইনালে তুলে তিনি মাঠ ছেড়েছেন। তার পরেও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ൲লে জায়গা পাননি শ্রেয়স। ১৫ সদস্যের দল তো দূরের কথা, রিজার্ভ দলেও নেই শ্রেয়সের নাম।
আরও পড়ুন: জার্স𒉰িটা ভালো, টিমটা না- এভাবে হ্যাটা করেছিল লোকজন, স্মৃতিচারণ শাহরুখের- ভিডিয়ো
বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন শ্রেয়স
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচের আগের দিন শনিবার শ্রেয়স সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়া প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন। তিনি দাবি কর▨েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়ার কোনও প্রভাব তাঁর কেকেআর-এর প্রতি কমিটমেন্টে পড়েনি। তিনি দলের অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের উপরেই কি নির্ভর♔ করছে ভারতীয় দলে গ𝓡ম্ভীরের কোচ হওয়ার ভাগ্য?
শ্রেয়সের দাবি, ‘আমরা ক𓆏োয়ালিফায়ার ওয়ানে জিতেছি, আমিও সেই জয়ের অংশ ছিলাম এবং সেই ম্যাচে অবদান রাখতে পেরেছিলাম। এটা দারুণ বিষয় আম🌳ার কাছে। গত কয়েক মাসে এত ভালো খেলতে পেরে এবং এই দলের অংশ হতে পেরে, আমি খুব খুশি। এটা একটি দারুণ দল। আমি যেটা করেছি, সেটা হল বর্তমানে থাকতে চেয়েছি। আমার সঙ্গে কী ঘটতে চলেছে, বা কী ঘটছে, তা নিয়ে ভাবি না। আর নির্বাচন প্রক্রিয়া বা অন্য কিছু নিয়েও কোনও মাথাব্যথা নেই। আমি শুধু আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলে যেতে যাই।’
আরও পড়ুন: পিঠের ব্যথা নিয়ে আমি উদ্বেগ দেখালেও,কেউ বিশ্বাস করেনি- BCCI🧔-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরালেন শ্রেয়স
ট্রফি জেতাই একমাত্র পাখির চোখ কেকেআর অধিনায়কের
কলকাতা নাইট রাইডার্স এই মরশুমে বিস্ফোরᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚক মেজাজে রয়েছে। লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে꧑ থেকে শেষ করেছে। তারা ন'টি ম্যাচ জিতেছে। তিনটিতে হেরেছে। দু'টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম বার কেকেআর পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে শেষ করেছে।
আর এই মরশুমে শ্রেয়স আইয়ার ১৪৬.১৮ স্ট্রাইক রেটে ১৪ ম্যাচে ৩৪৫ রান করেছেন। কেকেআর-এর প্লಌেয়ারদের মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। দু'টি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে শ্রেয়সের। তবে এখন তাঁর একমাত্র পাখির চোখ, শিরোপা জয়। ২০১৪ সালের পর থেকে ট্রফির খরা চলছে কলকাতার দলে। ১০ বছর পর নাইটদের ট্রফি জেতাতে তাই মরিয়া হয়ে রয়েছেন শ্রেয়স-গৌতি জুটি।