ඣ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০১১-এর ফাইনালে নতুন বল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই কথা আজও মনে রেখেছেন ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার। মাহি সেই দিন যেভাবে অশ্বিনের উপর আস্থা দেখিয়েছিলেন, সেই কথা এখনও ভোলেননি তারকা স্পিনার অশ্বিন। এই ফাইনালের পরেই অশ্বিনের কেরিয়ার বাইশ গজে নতুন দিক পেয়েছিল। এর জন্য অশ্বিন নিজেকে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের কাছে সব সময়ে ঋণী বলে মনে করেন। বাইশ গজে খেলা চলার সময়ে অপ্রচলিত কৌশল তৈরি করতে পারদর্শী ধোনি। ২০১১ সালের আইপিএল ফাইনালে অশ্বিনের হাতে নতুন বল তুলে দিয়েছিলেন ধোনি এবং এই উদীয়মান অফ স্পিনার চতুর্থ বলেই ফর্মে থাকা ক্রিস গেইলের উইকেট নিয়েছিলেন।
ꦛচেন্নাই সুপার কিংসের জন্য চিপকের সেই জাদুকরী রাতটি ছিল অশ্বিনের জন্য সবেমাত্র শুরু এবং তারপর থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তার যাত্রা এগিয়ে চলেছে। অশ্বিন ১০০টি টেস্ট খেলেছেন এবং খেলার ঐতিহ্যগত ফর্ম্যাটে ৫১৬ উইকেট নিয়েছেন। তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিএনসিএ) দ্বারা ৫০০ উইকেট এবং ১০০ টেস্টের দ্বিগুণ অর্জন উদযাপনের জন্য আয়োজিত একটি অভিনন্দন অনুষ্ঠানে ২০১১ সালের সেই কথা বলেন অশ্বিন। ধোনি যে তার প্রতি আস্থা দেখিয়েছিলেন সেই মুহূর্তের কথা আজও রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভুলে যাননি।
💮TNCA অশ্বিনকে তার কৃতিত্বের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছে। অশ্বিন আবেগাপ্লুত হয়ে বললেন, ‘আমি সাধারণত আমার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য শব্দ খুঁজি না। আমি এখানে এসে এই সম্মানের জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ।’ নিজের প্রথম আইপিএল অধিনায়ক ধোনিকে কৃতিত্ব দিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘২০০৮ সালে, আমি চেন্নাই সুপার কিংসের ড্রেসিংরুমে সমস্ত দুর্দান্ত খেলোয়াড় ম্যাথু হেডেন এবং এমএস ধোনির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন আমি কিছুই ছিলাম না এবং যে দলে মুথাইয়া মুরলিধরন ছিলেন আমি সেই দলে খেলছিলাম।’
🎉আরও পড়ুন… WPL 2024: এলিস পেরিকে গাড়ির ভাঙা জানলার কাঁচ উপহার দিল TATA! জানেন কি পুরো ঘটনাটা
আমি ধোনির কাছে ঋণী--অশ্বিন
𒁏তিনি আরও বলেন, ‘ধোনি আমাকে যা দিয়েছেন তার জন্য আমি সারাজীবন তার কাছে ঋণী থাকব। ক্রিস গেইল সামনে থাকা অবস্থায় তিনি আমাকে নতুন বলে সুযোগ দিয়েছিলেন। আর ১৭ বছর পর এই একই ঘটনার কথা বলবেন অনিল ভাই।’ চেন্নাই দল ২০০৮ সালে স্থানীয় স্পিনার হিসাবে অশ্বিনকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল কিন্তু মুথাইয়া মুরলিধরন কারণে তিনি একটি ম্যাচও পাননি। কিন্তু চেন্নাইয়ের এই ৩৭ বছর বয়সী বোলার নিজেকে ক্রমাগত উন্নতি করে এখানে পৌঁছেছেন।