গত বছর থেকেই আইপিএলে চালু হয়েছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম। কিন্তু এই নিয়মকে ঘিরে ইতিমধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে ভারতের অনেক প্লেয়ারই এই নিয়মের বিরোধীতা করছেন। রিকি পন্টিংয়ের মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মনে করছেন, এই নিয়ম অলরাউন্♛ডারদের প্রয়োজন🐎 কমিয়ে দেবে।
আবার রবি শাস্ত্রীর মতো অনেকের দাবি, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের কারণে এক জন ব্যাটার বা এক জন বোলারকে আরও ভাল🌃ো ভাবে ব্যবহার করা যাবে। এখন প্রশ্ন হল, এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়াররা কতটা ইমপ্যাক্ট তৈরি করতে পারল ২০২৪ আইপিএলে?
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম কী?
এই নিয়ম অনুসারে টসের সময়ে প্লেয়িং ইলেভ💜েন ঘোষণা করার ক্ষেত্রে দলের অধিনায়ককে আরও পাঁচ জন খেলোয়াড়ের নাম দিতে হয়। যাঁদের তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তার পর ম্যাচ চলাকালীন যে কোনও দলের অধিনায়ক প্লেয়িং ইলেভেন থেকে একজন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের অপশনের জন্য দেওয়া নাম থেকে একজন খেলোয়াড়কে ডাকতে পারেন। আইপিএল ২০২৪-এ সমস্ত দল এই নিয়মের সুবিধা নিয়েছে।
এই নিয়মের ফায়দা কী হচ্ছে?
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম আসার পর আইপিএলে ক্রিকেট এখন আর ১১ জনের খেলা নয়। এখন আ🍸র প্রথম একাদশ বেছ🎐ে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় এক জন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এমন কী টসের আগে দল ঘোষণা করতে হয় না। টস জেতা বা হারার পর দলের অধিনায়ক ঠিক করার সুযোগ পান, বাড়তি ব্যাটার নাকি বাড়তি বোলারকে দলে রাখবেন।
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে যে রকম ঝুড়ি ঝুড়ি রান উঠছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার কতটা বৈপ্লবিক বদল এনেছে ম্যাচের গতিপ্রকৃতিতে। এর আগে কোনও আইপিএল মরশুমেই একবারের বেশি দলগত ২৪০ রানের ইনিংস গড়ার ঘটনা চোখে পড়েনি। আইপিএল ২০২৪-এ দশ বারেরও বেশি দেখা গিয়েছে ২৪০ বা তারও বেশি রানের ইনিংস। এতেই বোঝা যাচ্ছে তফাৎটা। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের জন্যই আইপিএলে বিস্তর রান উঠছে। দর্শক🧜রা চার-ছক্কা দেখতেই মাঠে আসেন। সুতরাং, ক্রিকেটপ্রেমীদের বিনোদন নতুন মাত্রা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বেড়েছে দল, বদলেছে নিয়ম, 2024 T20 World Cup কℱী ফর্ম্যাটে খেলা হবে? জানুন বিস্তারিত
এই নিয়মের নেতিবাচক দিক
ক্রিকেটীয় দিক দিয়ে দেখলে বিষয়টির নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে যথেষ্ট। বি🎶শেষ করে বোলারদের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লাগার বিষয়কে উপেক্ষা করা যাবে না মোটেও। তাছাড়া অল-রাউন্ডারের প্রয়োজনও ফুরিয়েছে এখন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ও বোলার ব্যবহারের দিকেই ঝুঁকছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এতে সঙ্কটে পড়েছে অলরাউন্ডাররা। চলতি আইপিএলে শিবম দুবের মতো পেসার অল-রাউন্ডার বল করার সুযোগ পেয়েছেন কদাচিৎই। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একজন পেসার অল-রাউন্ডারের কতটা প্রয়োজন টিম ইন্ডিয়ার, সেটা সবাই বোঝেন।
রোহিতদের বিরোধীতায় সুর নরম জয় শাহের
ইমপ্যাক্ট প্ল🎃েয়ার নিয়ে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ঋষ♉ভ পন্ত, মহম্মদ সিরাজ, অক্ষর প্যাটেলদের তীব্র বিরোধীতার পর, বিসিসিআই সচিব জয় শাহ স্পষ্ট জানান যে, আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চিরস্থায়ী ভাবে বলবৎ করা হয়নি। বরং তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এখনও। ম্যাচে বাড়তি একজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে সুযোগ করে দিতেই, এই নিয়ম চালু করার কথা ভাবা হয়েছে।
জয় শাহ আরও জানিয়েছেন যে, বিশ্বকাপের পরে ভারতীয় ক্যাপ্টেন, ক্রিকেটার, কোচ এবং আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সেই মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পরবর্তী সময়ে। বোর্ড সচিব বলেওছেন, ‘আইপিএলে পরীক্ষামূলক ভাবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নিয়ম চালু করা হয়, যাতে দু'জন ভারতীয় প্লেয়ার ম্যাচে সুযোগ পেতে পারে। এটা চিরস্থায়ী নয়। আমরা ভারতীয় ক্যাপ্টেন, প্লেয়ার,ꦺ কোচ ও ফ্র্যাঞ্চইজিদের সঙ্গ💖ে আলোচনা করব। তার পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্বকাপ শেষ হলে এই বৈঠক আয়োজন করা হবে।’