বড়সড় অঘটন না ঘটলে আগামী আইপিএলে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে না, তেমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিসিসিআই। আইপিএল সাম্প🍨্রতিক সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও ভারতীয় বোর্ড এখনই এর ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষপাতি নয়। আসলে ভারত বলে নয়, বিদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও এই মিলিয়ন ডলার ক্রিকেট লিগ উপভোগ করে থাকেন। কারণ এই লিগের বিশ্বের সব দেশের সেরা সেরা ক্রিকেটাররা খেলতে আসে। ফলে বিগ ব্যাশ লিগ বা সিপিএল থাকলেও আইপিএলের ম্যাচ হয় অনেক বেশি আকর্ষণিয় এবং জমজমাট। ফলে ক্রিকেটপ্রেমীদের চাহিদাও থাকে যত বেশি পরিমাণ ম্যাচ দেখার। এমনিতে আইপিএল প্রায় দুমাস ধরে চলে, ফলে নতুন করে ম্যাꦉচ বাড়িয়ে এই সূচি আর দীর্ঘায়িত করতে চাইছে না বিসিসিআই।
সামনেই রয়েছে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানেই আইপিএলের ম্যাচ বাড়ানো নিয়ে কথা হওয়ার জল্পনা ছড়িয়েছিল। শুরুর দিকে আইপিএলে ৬০টি করে ম্যাচ꧟ হলেও পরবর্তী সময় তা বাড়িয়ে ৭৪ করা হয়। দলও বেড়ে যায়। প্রথমে ৮ দল নিয়ে খেলা হলেও পরে তা ১০টি দল বেড়ে দা🔯ঁড়ায়। এরপর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, ২০২৫ সালে ফের ফরম্যাটে বদল আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আইপিএলে ৭৪টি নয়, হবে ৮৪টি ম্যাচ। যদিও সেই সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ বলেই মনে করছে ভারতীয় বোর্ডের ঘনিষ্ঠমহল।
আসলে বিসিসিআই কর্তারা দুটি বিষয় মাথায় রাখছে আইপিএলের ম্যাচ বাড়ানোর ক্ষেত্রে। প্রথমত ভারতীয় ক্রিকেটারদের ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত যখন জুন মাস নাগাদ কোনও সিরিজ হারে বা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হেরেছে তখনই আইপিএলের দিকেই আঙুল উঠেছে। আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার বড় দাবিদার ভারত, তাই এক্ষেত্রে বোর্ড নিজেদের ক্রিকেটারদের নিয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে হ🌜ঠাৎ করে যদি বলা হয়, ফাইনাল রাউন্ডে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে তাহলে তা♐ঁরাও বেঁকে বসবে।
দ্বিতীয় গত আইপিএলের শেষের দিকে ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশই তাঁদের ক্রিকেটারদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছিল। আইপিএলকে আইসিসি অনেকটা গ্লোবাল প্রতিযোগিতা হিসেবেই দেখে। অনেক ক্রিকেট বোর্ডই বেসরকারিভাবে বলেছে, আইপিএলের জন্যে যাতে আলাদা উইন্ডো হয়। সেটা না হলে🦩ও, বিসিসিআ✃ই চাইছে না আইপিএলের ম্যাচের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রতিযোগিতা দীর্ঘায়িত করতে। কারণ সেক্ষেত্রে বহু দেশের ক্রিকেটাররাই জাতীয় দলের হয়ে না খেলে আইপিএলে খেলতে চান, তখন তাঁদের বোর্ডকে কড়া হতে হয়। ফলে কোনও বিতর্ক ছাড়াই আইপিএলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই ২০২৫ সালে ম্যাচের সংখ্যায় কোনও বদল আনছে না বোর্ড।
প্রসঙ্গত কয়েক সপ্তাহ আগে বোর্ড সচিব জয় শাহ স্বীকার করে নিয়েছিলেন আইপিএলের ম্যাচ বাড়ানো নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়ে♍ছে তাঁর সত্যতা। তবে তিনি জানিয়ে ছিলেন তখনও বোর্ডে এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আলোচনা যে চলছে সেকথাও তিনি স্প𝔉ষ্টতই জানান। আসন্ন এজিএমে আইপিএলের প্লেয়ার রিটেনশন রুল নিয়েও সিদ্ধান্ত হতে চলেছে।