ಞ শুভব্রত মুখার্জি:- ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াতে একটা বিখ্যাত শিরোনাম লেখা হয়েছিল। তাতে লেখা হয়েছিল 'ইজ ইট আ বার্ড অর আ প্লেন!' অর্থাৎ এটা কি কোন পাখি নাকি কোন প্লেন। এমন একটি দুর্দান্ত রান আউট করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার জন্টি রোডস। ওই বিশ্বকাপে ইনজামাম উল হককে এইভাবে উড়ে গিয়ে রান আউট করে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি।
♒তারপর থেকে এক নামে তাঁকে চেনে গোটা বিশ্ব। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তবে এবার কি ভারতীয় সিনিয়র পুরুষ দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব নিচ্ছেন? এমনটাই একটা জল্পনা কিন্তু তৈরি হয়েছে সম্প্রতি। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের অভিযান চলার মাঝেই এমন জল্পনা উস্কে উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
🌜একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড অর্থাৎ বিসিসিআই চাইছে জন্টি রোডসকে ভারতের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করতে। রেভস্পোর্টসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ইতিমধ্যেই নাকি এই বিষয়ে জন্টি রোডসের নাম ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ভারতীয় বোর্ড। তবে তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনরকম কোন ফর্ম্যাল আলোচনা হয়নি।
ꦕনিজের ক্রিকেটীয় কেরিয়ারে তাঁর ক্যাচিং দক্ষতা এবং ফিল্ডিংয়ের ক্ষিপ্রতার উপর ভর করে একাধিক ম্যাচ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি তাঁর ফিল্ডিংয়ের জোরে ম্যাচ সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন।
𝄹টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে সময়কাল শেষ হচ্ছে রাহুল দ্রাবিড়ের। এই জায়গায় বিসিসিআই হেড কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এই ব্যাপারটি মিটে গেলেই নাকি বিসিসিআই এই ফিল্ডিং কোচকে চূড়ান্ত করার বিষয়ে উদ্যোগী হতে পারে বলে খবর।
🅠এই মুহূর্তে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। ঘটনাচক্রে ২০১৯ সালে ভারতের ফিল্ডিং কোচ হতে আবেদনও করেছিলেন জন্টি রোডস। তবে সেবার বিসিসিআই আর শ্রীধরকেই ফিল্ডিং কোচ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে আর ভারতের কোচ হয়ে ওঠা হয়নি রোডসের।
ꦕতবে এবার কিন্তু পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বর্তমানে ভারতের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন টি দিলীপ। শেষ কয়েক বছরে প্রভূত উন্নতি হয়েছে ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ে। সেই ধারাই বজায় রাখতে চায় ভারতীয় বোর্ড। আর সেই কারণেই নাকি জন্টি রোডসের নাম ভাবা হচ্ছে বলে খবর।