শুভব্রত মুখার্জি: কলকাতা নাইট রাইডার্স অর্থাৎ কেকেআরের অন্যতম মালিক বওলিউড বাদশা শাহরুখ খান। তাঁর ছবির একটি বিখ্যাত সংলাপ রয়েছে যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায় 'হারকর জিতনে ওয়ালো কো বাজিগর ক্যাহেতে হ্যায়'। ২০২৪ মরশুমটা নাইটদের কাছে অনেকটা সেই রকম গেল। তারা শেষ আইপিএল ট্রফি জিতেছিল ২০১৪ সালে। তার পর দীর্ঘ ১০ বছরের খরা। সেই খরা ২০২৪ সালে তারা কাটিয়ে ফেꦗলল চিপকে। ফাইনালে তারা দাপুটে পারফরম্যান্স করে হারিয়ে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলকে। ঠিক যেমন ভাবে গোটা টুর্নামেন্টে তারা দাপটের সঙ্গে খেলেছে, ঠিক তেমনটাই দেখা গেল রবিবার চিপকে। আর এই দাপুটে পারফরম্যান্স করেই তারা অনন্য নজিরও গড়ে ফেলল।
এক 𓃲মরশুমে সব থেকে কম বার ম্যাচ হেরে শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করল তারা।বলা ভালো, এই পারফরম্যান্স করে তারা স্পর্শ করল রাজস্থান রয়্যালসের ১৬ বছর আগে করা নজিরকে। এই মরশুমে মাত্র তিনটি ম্যাচে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে কেকেআর দলকে। প্রথমটি তারা চিপকেই হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। এরপর তারা ঘরের মাঠে দুটি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হারে। একটিতে অনবদ্য শতরান করে একাই কেকেআরকে হারিয়ে দেন জস বাটলার। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুরন্ত ম্যাচ জেতান তিনি। এর পর ঘরের মাঠেই পঞ্জাব কিংসের কাছেও হারতে হয়েছিল নাইটদের।এছাড়া গোটা মরশুমে নাইটরা আর কোনও ম্যাচে হারেনি। এতটাই দাপটের সঙ্গে পারফরম্যান্স করেছে তারা।
ঠিক একই রকম দাপট আইপিএলের প্ꦬরথম মরশুমেই দেখ♛িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।সেবার কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান তারকা শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বে মাত্র তিনটি ম্যাচ হেরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এই তালিকাতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইপিএলের ইতিহাসে একেবারে নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্স।তাদের অভিষেক হয়েছিল ২০২২ সালে। সেই বছরেই তারা ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে ট্রফি জিতেছিল। সেবারও তারা দাপট দেখিয়ে মাত্র চারটি ম্যাচ হেরে ট্রফি জিততে সমর্থ হয়েছিল। আর এবার এক রকম দাপট গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে তো বটেই ফাইনালেও দেখাল কেকেআর। ৫৮ বল বাকি থাকতে মাত্র দুটি উইকেট হারিয়ে তারা হায়দরাবাদকে হারিয়ে ২০১২ এবং ২০১৪'র পর তাদের তৃতীয় আইপিএলের শিরোপা জিতে নিল।