বিতর্ক এড়াতে আইসিসি রান-আউটের পর্যায়ে উন্নীত করেছে মানকাডিংকে। অর্থাৎ, ডেলিভারির আগেই নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে বোলার যদি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে রান-আউট করেন, তা♐তে স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা নেই আর। ঘরোয়া ক্রিকেট হোক অথবা আন্তর্জাতিক, হামেশাই চোখে পড়ছে নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে ব্যাটারদের রান-আউটের ঘটনা। তবু শিক্ষা নিচ্ছেন না অনেকেই। পাকিস্তানের তারকা অল-রাউন্ডার শাদব খান সেই দল༒েরই একজন।
বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শাদবকে নন-স্ট🧜ღ্রাইকার প্রান্তে রান-আউট করেন ফজলহক ফারুকি। ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। হাতে ছিল মাত্র ২টি উইকেট। শাদব খান ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৪৮ রান করে নন-স্ট্রাইকে ব্যাট করছিলেন। তিনি ৪৯তম ওভারে ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ রান সংগ্রহ করেন। অর্থাৎ, আফগানিস্তানের ভয় ছিল শাদবকেই।
শেষ ওভারে স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা নাসিম শাহকে ൲তেমন একটা গুরুত্বই দেননি ফারুকি। শেষ ওভারের প্রথম বল করতে এসে বোলিং ক্রিজে থমকে যান ফারুকি। শাদব ক্রিজে ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন দেখে তিনি ডেলিভারি না করেই বল স্টাম্পে লাগিয়ে দেন। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখার পরে শাদবকে রান-আউট ঘোষণা করেন।
যদিও আফগানিস্তান তার পরেও ম্যাচ জিততে 🌟পার🌳েনি। শেষ ওভারে জোড়া বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানকে ম্যাচ জেতান নাসিম শাহ। ঠিক একইভাবে ২০২২ সালের টি-২০ এশিয়া কাপের ম্যাচে ফজলহক ফারুকিকে শেষ ওভারের জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন নাসিম।
হাম্বান্তোতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের ꦫবিনিময়ে ৩০০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৫১ বলে ১৫১ রান করে আউট হন। ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ বলে ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ไইব্রাহিম জাদরান। শাহিন আফ্রিদি ২টি এবং নাসিম শাহ ও উসামা মীর ১টি করে উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৪৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩০২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ের সুবাদে পাকিস্তান এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জয় নিশ্চিত ꦐকরে। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৫ বলে দলের হয়ে সব থেক বেশি ৯১ রান করেন ইমাম উল হক। বাবর আজম ৬টি বাউন্ডারির ꦜসাহায্যে ৬৬ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ফারুকি ৩টি ও মহম্মদ নবি ২টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হন শাদব।