বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেটের নাম করা হলে, প্রথম নামই আসে তাঁর। ব্যাট হাতে একাধিক ম্যাচ জ🔜েতানো ইনিংস খেলেছেন তিনি। বহু হারা ম্যাচ জিতিয়েছেন একা হাতে তাঁর দলকে। ঝুলিতে রয়েছে অজস্র অর্ধশতরান এবং শতরান। এছাড়াও ফিল্ডিং ছিল আলাদা মাত্রার। সব মিলিয়ে একজন কমপ্লিট ক্রিকেটার ছিলেন মনোজ তিওয়ারি। গত কয়েক মাস আগেই ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধ🔯ান্ত নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সিএবি কর্তাদের অনুরোধে আরও এক বছর খেলা চালিয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দেন রাজ্য়ের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তবে এবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে রঞ্জি খেলেই বিদায় নেবেন। তবে তার আগে, তাঁর দল তাকে দেখতে চায় এক বিশেষ ভূমিকায়। গোটা বাংলা শিবিরের একটাই দাবি নিজের বিদায় মরশুমে যেন অধিনায়কত্ব করেন মনোজ। পাশাপাশি, গোটা শিবির চায় মনোজ যেন নিজের শেষ টুর্নামেন্টে রঞ্জি ট্রফিটা তোলেন।
প্রায় দেড় দশকের উপর ক্রিকেট খেলেছেন মনোজ তিওয়ারি। শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটই নয়, টিম ইন্ডিয়া জার্সিতেও দেখা গেছে মনোজকে। তবে জাতীয় দলের হয়ে বিশেষ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তবুও আন্তর্জাতিক স্তরে মনোজের ঝুলিতে রয়েছে একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান। তবে এত বছর ক্রিকেট খেলেও, তাঁর একটি স্বপ্ন এখনও হয়ꦜনি পূরণ। নিজের ১৯ বছরের ক্রিকেট জীবনে, তিনি একবারও জিততে পারেননি রঞ্জি ট্রফি। চারবার ফাইনালে পৌঁছেছেন ঠিকই, তবে পাননি ট্রফি জেতার স্বাদ।
স্বাভাবিকভাবে, তাঁর দলে🐎র ছেলেদের একটাই চাহিদা এই মুহূর্তে যে বাংলার এই তারকা ব্যাটার যেন নিজের শেষ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন এবং রঞ্জি ট্রফিটা তোলেন। তবে আদৌ তিনি নিজের শেষ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন কিনা, সেই সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি মনোজ তিওয়ারির থেকে। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে মনোজের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সিএবি কর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে মনোজ তিওয়ারির। জাতীয় দলের হয়ে তাকে প্রথম দেখা যায় ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে। যদিও নিজের প্রথম ম্যাচে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে দুটি উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন তিনি প্রথমটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরান এবং টিম ইন্ডিয🥀়াকে ম্যাচ জেতানো। দ্বিতীয়টি আসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। রান তাড়া করতে নেমে তিনি অর্ধশতরান করে ম্যাচ জেতান দলকে। এছাড়া আইপিএলে তিনি তিনটি দলের হয়ে খেলেছেন, কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্ট। বর্তমানে তিনি রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।