এমনিতেই পেস বোলারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজে বাড়তি আগ্রাসন ধরা পড়ে। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মহম্মদ সিরাজের রেকর্ড ভালো বলেই সম্ভবত কলম্বোয় কুশল মেন্ডিসের উপর হম্বিতম্বি করতে দেখা যায় ভারতীয় পেসারকে। সব মিলিয়ে সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে সিজার ও মেন্ডিসের ব্যাট-বলের ডুয়েল ছাড়াও কথার লড়﷽াই জমজমাট হয়ে ওঠে।
প্রথম ২টি ম্যাচের মতো কলম্বোয় ꧅সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচেও টস জেতেন শ্রীলঙ্কা দলনায়ক চরিথ আসালঙ্কা। তিনি স্বাভাবিকভাবেই স্লো পিচে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারত এই ম্যাচে একজন বাড়তি স্পিন বিকল্প রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। আর্শদীপ সিংকে বসিয়ে ভারত মাঠে নামায় স্পিনার অল-রাউন্ডার রিয়ান পরাগকে। ফলে ম্যাচে ভারতের প্রথম একাদশে একমাত্র বিশেষজ্ঞ পেসারে পরিণত হন সিরাজ। তাঁকে নতুন বলে সহযোগিতা করেন অল-রাউন্ডার শিবম দুবে।
মহম্মদ সিরাজ ম্যাচে যথেচ্ছ মার খান। যদিও একটি উইকেটও তুলে নেন তিনি। ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৭৮ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন সিরাজ। তবে তাঁর শরীরি ভাষায় আগ্রাসন জারি ছিল বরাবর। প্রথম ইনিংসের ৩৯তম💃 ওভারে একবার কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন সিরাজ।
৩৮.৩ ওভারে সিরাজের ডেলিভারি ঠিক মতো সামলাতে পারেননি কুশল মেন্ডিস। তিনি ডিফেন্স করলেও বল স্টাম্পের দিকে ছিটকে যায়। কুশলকে তৎপর হতে দেখা যায় বল যাতে স্টাম্পে না লাগে তা নিশ্চিত করতে। কুশলকে এভাবে বিব্রত করার পরেই স্লেজিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর দিকে এগিয়ে যান সিরাজ। চুপ থাকার বান্দা নন কুশলও। তিনিও পালটা বাক্যবাণ ছু♉ঁড়ে দেন সিরাজের দিকে।
ম্যাচে যদিও সিরাজের থেকে কুশলের পারফর্ম্যান্সকে এগিয়ে রাখতেই হয়। কেননা একপ্রান্ত আঁকড়ে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন কুশল মেন্ডিস। তাঁর ৮২ বღলে ৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদেই শ্রীলঙ্কা আড়াইশো রানের কাছে পৌঁছে লড়াইয়ের রসদ জোগাড় করে নেয়।
কুশল মেন্ডিস ছাড়াও শ্রীলঙ্কার হয়ে এদিন দাপুটে ইনিংস খেলেন দুই ওপেনার আবিষ্কা ফার্নান্ডো ও পাথুম নিশঙ্কা। পাথুম নিশ্চি♏ত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন আবিষ্কা। পাথুম ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। আবিষ্কা ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০২ বলে ৯৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।