পচা শামুকে পা কাটার পরে অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানের রেকর্ড পারফর্ম্যান্সে ভর করে 🥃আমেরিকার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। শনিবার আমেরিকাকে নিয়ম রক্ষার তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম ২টি টি-২০ ম্যাচে আমেরিকার মতো দুর্বল দলের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। এবার তৃতীয় ম্যাচ জিতে শাকিব আল হাসানরা ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ𒐪ে ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুখ রক্ষা হয় বলা চলে। নাহলে বিশ্বকাপের আগে আমের🍌িকার কাছে চুনকাম হতে হলে লজ্জার শেষ থাকত না।
যদিও আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আমেরিকা এদিন পূর্ণ শক্তির দল মাঠে নামায়নি। তারা বিশ্রাম দেয় প্রথম সারির একাধিক ক্রিকেটারকে। বরং বলা ভালো যে, এই ম্যাচে আমেরিকা তাদের 🐼রিজার্ভ বেঞ্চকে যাচাই করে নেয়। আমেরিকা এই ম্যাচে খেলায়নি ক্যাপ্টেন মোনাঙ্ক প্যাটেলকে। তা𒐪ঁর বদলে মার্কিন দলকে নেতৃত্ব দেন অ্যারন জোনস।
আমেরিকা বিশ্রাম দেয় ওপেনার স্টিভ𒁏েন টেলরকে। প্রথম ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হরমীত সিংকেও এই ম্যাচে খেলায়নি তারা। এমনকি দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার আ🐲লি খানকেও বিশ্রাম দেয় আমেরিকা। যার লাভ তুলে নেয় বাংলাদেশ।
তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আমেরিকা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১০৪ রান তোলে।♍ আন্দ্রিজ ২৭, জাহাঙ্গির ১৮, কোরি অ্যান্ডারসন ১৮ ও শেডলি ১২ রান করেন।
বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন। বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ ক্রিকেটে এটিই কোনও ﷽বোলারের সেরা পারফর্ম্যান্স। মুস্তাফিজুর এক্ষেত্রে ভেঙে দেন ইলিয়াস সানির রেকর্ড। সানি ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। অবশ্য ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে অ্যাওয়ে ম্যাচে সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্সের রেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজুর।
এছাড়া আমেরিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে শাকিব আল হাসান ৩ ওভারে ২৩ রান খর💝চ করে ১টি উইকেট নেন। ৪ ওভ🐎ারে ৩২ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন তানজিম হাসান শাকিব। ৪ ওভারে ৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১১.৪ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১০৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪২ বলে ৫৮ রান করেন তানজিদ হাসান। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ৪৩ রান করেন সৌম্য সরকার। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন মুস্তাফিজুর। সাকুল্যে ১০টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও প🎐কেটে পোরেন মুস্তাফিজ।