শুভব্রত মুখার্জি: সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেন টিম সাউদি। অভিজ্ঞ এই কিউয়ি বোলার ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৫ রান দিয়ে নিলেন পাঁচ উইকেট। আর ত✅াঁর দুরন্ত স্পেল এবং টিম সেইফার্টের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করেই প্রথম টি-২০ ম্যাচে আরব আমিরশাহিকে হারালো নিউজিল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে আপাতত ১-০ ফলে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। প্রসঙ্গত ২০১০ সালে অকল্যান্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০-তে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন টিম সাউদি। এর পর এক দশক পার করে ফের একবার আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি। এই মাঠেই আগামী শনিবার খেলা হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের সূচনা হয়। সিরিজের প্রথম টি-২০-তে কিউয়িরা জয় পেয়েছে মাত্র ১৯ রানে। আমিরশাহি যথেষ্ট কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলে দিয়েছিল নিউজিল্য🌄ান্ড দলকে। দলের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন টিম সেইফার্ট। ৩৪ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৩টি ছয় এবং ও ২ টি চারে। ফলে নিউজিল্যান্ড দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ১৫৫ রান।
আরও পড়ুন: এটা ওদের স🅷ম♊স্যা, আমার নয়- দ্রাবিড়, রোহিতের প্রত্যাশা নিয়ে বাউন্সার দিলেন বুমরাহ
অভিষেক হওয়া আরিয়ানস শর্মার দুর্দান্ত ইনিংসে লড়াকু জা😼য়গায় পৌঁছায় আমিরশাহি । ৫ উইকেট হাতে থাকা অবস্থায় ৩১ বলে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। কিন্তু আরিয়ানস ৪৩ বলে ৬০ রান করে ফেরার পর আর কোনও আমিরশাহি ব্যাটার বলার মতন রান করতে পারেননি। ফলে ডুবতে হয় আমিরশাহিকে। শেষ পর্যন্ত ২১ রানে শဣেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আমিরশাহি।
প্রায় ৯ মাস পর নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-২০ খেলতে নেমে ৫ উই༺কেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন অভিজ্ঞ পেসার সাউদি। আর এক পেসার কাইল জেমিসন ২.৪ ওভারে ২০ রানে একটি উইকেট নেন।২টি করে উইকেট নেন মিচেল স্য💜ান্টনার ও জিমি নিশাম।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের প্রথম বলেဣই চ্যাড বাওয়েসকে হারাতে হয় নিউজিল্যান্ড দ𝔍লকে । অপর প্রান্তে ঝড় তোলেন সেইফার্ট। পঞ্চাশ পূর্ণ করেন তিনি ৩০ বলে। দ্বিতীয় উইকেটে সেইফার্টের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েন ডেন ক্লিভার। যার অবদান ছিল স্রেফ ৪ রান।
আমিরশাহির হয়ে এদিন টি-২০ অভিষেক হয় সাত জনের! ইনিংসের প্রথম বলে তারা হারায় অধিনায়ক ও দলের সেরা ব্যাটার মহম্মদ ওয়াসিমকে। তাকে এলবিডব্লিউ করেন সাউদি। ১৩ ওভার শেষে আমিরশাহির রান ছিল ৪ উইকেটে ১০৪🉐। তখন জয়ের জন্য ৪২ বলে দরকার ছিল ৫৫। এর পরই দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে প্রথম বলে সাউদি ফেরান বাসিল হামিদকে।
নিজের বোলিং কোটার শেষ ওভারে আরিয়ান আফজাল খান ও জুনেইদ সিদ্দ꧅িককে আউট করে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন সাউদি। শেষ ওভারে মহম্মদ ফারাজউদ্দিনকে আউট করে কিউয়িদের জয় নিশ্চিত করেন জেমিসন।