বুধবার পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেটের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল। নিজেদের মাটিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ১০ রানে পরাজিত করে তারা। পাকিস্তানের মহিলা দল কেবল সিরিজে ২-০ তে অপ্রতিরোধ্য লিড নেয়নি বরং কিউয়িদের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছিল। এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান মহিলা দলও ঘরের বাইরে সিরিজ জয়ের খরা শেষ করতে সক্ষম হয়েছে। গত ৫ বছর ধরে এই খরা চলছিল তাদের। পাকিস্তান মহিলা দ🅠ল সর্বশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের বাইরে সিরিজ জিতেছিল। দলের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আলিয়া রিয়াজ ও ফাতিমা সানা।
ম্যাচের কথা বললে, টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা স্থির করে ছিল পাকিস্তানের মহিলা দল। প্রথম ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান যোগ করে তারা। এর♛পর দলটি প্রথম ধাক্কা পায় শাওয়াল জুলফিকারের ফর্মে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে। ৭ রান করে আউট হন শাওয়াল জ꧟ুলফিকার। মুনিবা আলি দ্রুত রান তুলছিলেন, দলের স্কোর ৫০ পার হলে তিনি ২৮ বলে ৬ চারের সাহায্যে ৩৫ রান করে আউট হন।
মুনিবা আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের রানের গড়ে একটা ভাটা পড়ে, এক সময় মনে হচ্ছিল দল মাত্র ১০০-১১০ রানে পৌঁছাতে পারবে, কিন্෴তু তখন আলিয়া রিয়াজ ২২ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিং💞স খেলেন। এই সময়ে তিনি তিনটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। রিয়াজের অপরাজিত ইনিংসটি দলকে ১৩৭ রানে নিয়ে যায়। জয়ের ব্যবধান তৈরি করে রিয়াজের এই ইনিংস।
১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে আসা নিউজিল্যান্ড দলের শুরুটা ছিল খুবই খারাপ হয়েছিল। পাওয়ার🐓প্লেতে সুজি বেটস, সোফি ডিভাইনসহ ৪ উইকেট হারায় দল। স্বাগতিক দল সম্পূর্ণ চাপে ছিল এব♓ং পাকিস্তানি বোলাররা তাদের হাত খোলার খুব একটা সুযোগ দেয়নি। জর্জিয়া প্লামার নিশ্চিতভাবেই ২৮ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন, কিন্তু দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। জর্জিয়া ছাড়া নিউজিল্যান্ডের কোনও খেলোয়াড় ২৫ রানের সীমা অতিক্রম করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ড দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৭ রান করতে পারে। পাকিস্তানের হয়ে ফাতিমা সানা টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নেন। এই সময়ের মধ্যে, তিনি সুজি বেটস এবং সোফি ডিভাইনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন।