𒈔 সলমন আলি আঘা ও মহম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠল পাকিস্তান। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান ও সলমন আলি আঘা দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে ওয়ানডে ক্রিকেটে তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেছেন। বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে, স্বাগতিক দল পাকিস্তান ছয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে ৩৫৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয় নিশ্চিত করেছে।
ইতিহাস গড়লেন সলমন আলি আঘা ও মহম্মদ রিজওয়ান
🐻এর আগে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৮ রানের পরাজয়ের পর, রিজওয়ানের দল শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করল। সলমন ও রিজওয়ান ২৬০ রানের বিশাল জুটি গড়েন, যা পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে রান তাড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। এই সময়ে সলমন ও রিজওয়ানের এই জুটি ইমরান ফারহাত ও মহম্মদ হাফিজের রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। আসলে ২০১১ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ইমরান ফারহাত ও মহম্মদ হাফিজ ২২৮ রানের অপরাজিত জুটি গড়েছিলেন। যা এদিন দ্বিতীয় হয়ে গেল।
আরও পড়ুন … ꦅIND vs ENG 3rd ODI: উইকেট শুরুতে কঠিন ছিল- শুভমন গিল জানালেন এটি তাঁর সেরা ইনিংসের একটি
একাধিক রেকর্ড ভাঙলেন সলমন আলি আঘা ও মহম্মদ রিজওয়ান
𒉰পাকিস্তানের আগের সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া ছিল ২০২২ সালের মার্চে লাহোরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, যেখানে তারা ৩৪৯ রান তাড়া করেছিল। এছাড়াও, রিজওয়ান ও সলমন পাকিস্তানের ওয়ানডেতে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েন, যা ২০০৯ সালে মহম্মদ ইউসুফ ও শোয়েব মালিকের ভারতের বিরুদ্ধে করা ২০৬ রানের জুটিকে টপকে গিয়েছে।
আরও পড়ুন … ജIND vs ENG: আমরা এমন একটি দলের বিরুদ্ধে খেলেছি যারা…. ভারতের শক্তিকে কুর্নিশ জানালেন জোস বাটলার
বাভুমা, ব্রিটজকে ও ক্লাসেনের দুর্দান্ত ইনিংস
🙈টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫০/৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ৮২ রানের ইনিংস খেলে ব্যাটিং নেতৃত্ব দেন। টনি ডি জর্জি বেশি কিছু করতে না পারলেও, ম্যাথিউ ব্রিটজকে, যিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫০ রান করেছিলেন, এদিন ৮৪ বলে ৮৩ রান করেন ম্যাথিউ ব্রিটজকে। বাভুমা ও ব্রিটজকে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১১৯ রানের জুটি গড়েন।
ღব্রিটজকের দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত থাকে, কিন্তু বড় ইনিংস খেলেন এনরিখ ক্লাসেন, যিনি ৫৬ বলে ৮৭ রান করেন, যেখানে ছিল ১১টি চার ও ৩টি ছক্কা। কাইল ভেরেইন ৩২ বলে ৪৪ রান করে দলের স্কোর আরও শক্তিশালী করেন। পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন শাহ আফ্রিদি ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন, এছাড়া নাসিম শাহ ও খুশদিল শাহ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রিজওয়ান ও সলমনের ম্যাচ জেতানো ইনিংস
꧅পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতে ফখর জামান ৪১ রান করে দ্রুতগতির সূচনা এনে দেন, তবে উইয়ান মালডার তাকে আউট করেন। বাবর আজম ২৩ রান করার পর মালডারের দ্বিতীয় শিকার হন। সউদ শাকিল ১৫ রান করে বিদায় নিলে পাকিস্তান কিছুটা চাপে পড়ে যায়। কিন্তু একবার রিজওয়ান ও সলমন উইকেটে সেট হলে পাকিস্তানের জন্য আর কোনও বাধা ছিল না।
🧸রিজওয়ান ১২৮ বলে ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। অন্যদিকে, সলমন ১০৩ বলে ১৩৪ রান করেন, যাতে ছিল ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নেয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি, করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলতে নামবে পাকিস্তান।