১৯৯৩ সালে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যে ডেলিভারিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটার মাইক গ্যাটিংকে আউট করেন শেন ওয়ার্ন, সেটিকে শতাব্দীর সেরা বল বলা হয়ে থাকে। ৩১ বছর পরে সেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুককে যেভাবে বোল্ড করেন প্রবথ জয়সূর্য, সেই ডেলিভারিটি শেন ওয়ার্নের মতো চমকপ্রদ ꦓনা হলেও অসাধারণ সন্দেহ নেই। একঝলকে দেখে কিংবদন্তি ওয়ার্নের ‘বল অফ দ্য সেঞ্চুরির’ কথা মনে পড়াই স্বাভাবিক।
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি স্পিনার দুর্দান্ত একটি ঘূর্ণি ড♍েলিভারিতে হ্যারি ব্রুকের স্টাম্প ছিটকে দেন। ইংল্যান্🐷ডের প্রথম ইনিংসে ৪০তম ওভারে শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা বল করতে পাঠান জয়সূর্যকে। ওভারের প্রথম বলেই তিনি চমকে দেন ব্রুককে।
জয়সূর্য ⛎পিচ থেকে অল্পবিস্তর সাহায্য পাচ্ছিলেন বটে, তবে বল বিরাট টার্ন নিচ্ไছিল এমনটা নয়। তাই হ্যারি ব্রুক বলের ড্রপ দেখে লাইন অনুমান করছিলেন সাফল্যের সঙ্গে। তবে জয়সূর্যর সেই ডেলিভারিতে বল পড়ে লেগ স্টাম্পের বাইরে। বল ড্রপ করে সোজা আসবে ধরে নিয়েই ডিফেন্স করার চেষ্টা করেন ব্রুক। তবে এক্ষেত্রে বোকা বনে যান ব্রিটিশ তারকা।
প্রবথের সেই ডেলিভারিতে বল হঠাৎ বাঁক নেয়। ফলে বলের লাইন মিস করেন ব্রুক। হ্যারির ব্যাটের নাগাল এড়িয়ে বল গিয়ে লাগে অফ স্টাম্পে। ফলে🏅 ব্যক্তিগত ৫৬ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ব্রুককে। দ্বিতীয় দিনের শেষ পর্যন্ত জয়সূর্য মোট ২১ ওভার বল করেন। ৫টি মেডেন-সহ ৫৮ রান খরচ করে তিনি তুলে নেন ২টি উইকেট। ব্রুক ছাড়াও প্রবথ বোল্ড করেন ক্রিস ওকসকে।
ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা একসময় ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কা শেষমেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে। ক্যাপ্টেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। অভিষেককারী মিলান রত্নায়কে ৯🌟 🗹নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড দ🐎্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৯ রান। অর্থাৎ, শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের থেকে তখনই ২৩ রানে এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুক ছাড়া হাফ-সেঞ্চুরি করেন উইকেটকিপার জে🎃মি স্মিথ। তিনি দ্বিতীয় দিনের শেষে ৯৭ বলে ৭২ রান করে নট-আউট থাকেন।